কলকাতা টিভি ওয়েবডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে আরও এক ব্যক্তির শরীরে ধরা পড়ল মাঙ্কিপক্স। ভারতে মাঙ্কিপক্স প্রথম ধরা পড়ে কেরালায়। কেরালায় যার শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ঘুরে এসেছিলেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে রাজধানী দিল্লিতে বসবাসকারী ৩৫ বছর বয়সি নাইজেরিয়ান ওই ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের জীবাণু মিললেও তাঁর সাম্প্রতিক কোনও বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। দিল্লিতে এটি দ্বিতীয় মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের ঘটনা। এর আগে দিল্লিতে যাঁর প্রথম মাঙ্কিপক্স ধরা পড়ে তারও বিদেশ সফরের কোনও পূর্ব ইতিহাস ছিল না। এই নাইজেরিয়ান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মাঙ্কিপক্সের প্রথম সঙ্ক্রমণ ধরা পড়েছে কেরলে। কেরলের কোল্লাম জেলার ওই বাসিন্দা ইতিমধ্যেই সেরে উঠেছেন৷ শনিবার সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, আক্রান্ত হওয়ার পর ওই ব্যক্তির চিকিৎসা চলছিল তিরুঅনন্তপুরমের মেডিক্যাল কলেজে৷ এখন তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন৷ দূর হয়েছে ত্বকের সমস্যাও৷ ৩৫ বছরের ওই ব্যক্তিকে শনিবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে কেরলেই এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে।
এদিকে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্সকে ইতিমধ্যেই গ্লোবাল হেলথ ইর্মাজেন্সি বা পৃথিবীর জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে হু৷ মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলি সাধারণত জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং ক্লান্তি থেকে শুরু হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয় এবং সংক্রমণের পাঁচ থেকে ২১ দিনের মধ্যে যে কোনও জায়গায় উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একবার মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে জ্বর হলে, প্রথমে বসন্ত রোগের মতোই একটি দুটি করে গুটি দেখা যায় শরীরে। এক থেকে তিন দিন পর তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুখ থেকে শুরু হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে৷