কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুতে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির ব্যর্থতার জন্যেই কি হস্টেলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয় নবগতরা? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন রেজিস্ট্রার (Jadavpur University Registrar) স্নেহমঞ্জু বসু। তিনি বলেন, উপাচার্য না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা প্রশাসনিক সমস্যা হয়। সব সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা তো আমাদের হাতে থাকে না।
গত মার্চেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের মেয়াদ শেষে ইস্তফা দেন সুরঞ্জন দাস। অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে যাদবপুরেরই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ দত্তকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু এরপর ৪ অগাস্ট অমিতাভকেও ইস্তফা দিতে হয় রাজ্যপালের নির্দেশে। তারপর থেকে অনাথ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন হয়ে পড়েছে। আর এই পরিস্থিতিতেই গত সপ্তাহে ঘটে দুর্ঘটনা। ছাত্র মৃত্যু নিয়ে মুখ খোলায় রাজ্যপাল তথা আচার্য রাজ্যের রোষের মুখে পড়েন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যপালের মনে রাখা উচিত, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন তিনিই। এই ঘটনার দায় রাজ্যপালও এড়াতে পারেন না।
আরও পড়ুন: যাদবপুর-কাণ্ডে তলব আরও ৬ ছাত্রকে
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেন, উপাচার্য থাকলে এ ভাবে সবটা আমাদের উপর চলে আসত না। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত উপাচার্যই নেন। উপাচার্য থাকলে এবং কর্ম সমিতির বৈঠক নিয়মিত হলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হত। উপাচার্য না থাকলে অনেক ক্ষেত্রে অনেক কিছুর অনুমোদন পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাঁর এই মন্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কি পরোক্ষে রাজ্যপালের দিকেই দায় ঠেলেন?
উল্লেখ্য, ঘটনার পর থেকে রেজিস্ট্রার ক্যাম্পাসে পা না দেওয়ায় ক্ষোভ জানায় এসএফআইয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট। ছাত্র নেতারা রবিবার বলেন, এত বড় ঘটনার পরও রেজিস্ট্রারের দেখা মেলেনি। অথচ আমরা জানতে পেরেছি, তিনি নাকি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। রেজিস্ট্রার বলেন এধরনের ঘটনা আমি সহ্য করতে পারি না বলে আসিনি। কিন্তু অফিসারদের সঙ্গে আমি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে গিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটি আজই বৈঠকে বসছে। সেখানে কী সিদ্ধান্ত হয়, দেখা যাক।