রবিবার দুপুর সওয়া তিনটে নাগাদ মুম্বই-আহমেদাবাদ সড়কে একটি সেতুর উপরের ডিভাইডারে ধাক্কা দেয় টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান মৃত সাইরাস মিস্ত্রির গাড়ি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটি তখন ঘন্টায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার-এরও বেশি গতিবেগে যাচ্ছিল। সাইরাস সহ আরও চারজন আরোহীর মধ্যে কয়েকজনের সিট বেল্ট লাগানো ছিল না। টুইটে বার্তা শিল্পপতি আনন্দ মহীন্দ্রর।
রবিবার দুপুরে, মুম্বই থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিচার দূরে পালঘর এলাকার কাছে চারোটি চেকপোস্ট পার হওয়ার পর থেকে প্রায় একশো তিরিশ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে যেন হাওয়ায় উ়ডছিল সাইরাস মিস্ত্রিদের গাড়ি। গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিলেন সাইরাস পাশে ছিলেন জাহাঙ্গীর পান্ডোলে। সামনের সিটে বসেছিলেন দরিয়াস আর তাঁর স্ত্রী অনাহিতা পান্ডোলে। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন অনাহিতা। এই পান্ডোলে পরিবারের সকলেই একসময়ে দেশে অত্যন্ত পরিচিত একটি ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থার অংশীদার ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, অতিরিক্ত গতির কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি ডিভাইজারে গিয়ে ধাক্কা মারে। যে মার্সিডিজ গাড়িটিতে সাইরাসরা আহমেদাবাদ থেক মুম্বই ফিরছিলেন সেটি এতটাই উচ্চ গতিতে যেতে পারে সেজন্য ওই গাড়ির সওয়ারিদের ক্ষেত্রে নিয়ম পিছনে্র সিটে বসলেও সিট বেল্ট লাগানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু পিছনের সিটে বসে থাকা সাইরাস মিস্ত্রি আর জাহাঙ্গীর পান্ডোলে সিট বেল্ট পরে ছিলেন না। আর একারণেই গাড়ি দুর্ঘটনায় পিছনের সিটে বসে থাকা সাইরাস আর জাহাঙ্গীর দুজনে্রই মৃত্যু হয়েছে। আর সিট বেল্ট পরে থাকার কারণে চালকের আসনে থাকা দরিয়াস বা অনাহিতার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়নি।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরে বিশিষ্ট শিল্পপতি আনন্দ মহীন্দ্রা টুইট করে জানিয়েছেন, পিছনের সিটে বসলেও সিট বেল্ট পরে থাকা বাধ্যতামূলক। আমি নিজে শপথ নিয়েছি এখন থেকে পিছনের সিটে বসলেও সিট বেল্ট পরব। আর সকলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আপনারাও গাড়িতে বসলেই সিট বেল্ট পরা নিয়মিত অভ্যাস করুণ