নয়াদিল্লি: শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের দাবির শুনানি হবে ২৮ জুলাই। সংসদ ভবনেই হবে শুনানি। লোকসভায় তৃণমূল দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকারের শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছিলেন। ওই দিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুনানিতে হাজির থাকার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি দিয়েছে লোকসভার প্রিভিলেজ ও এথিক্স কমিটি। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৮ জুলাই সংসদ ভবনে বিকেল ৪টেয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনবে কমিটি। এর পরই শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছে লোকসভার সচিবালয়।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে শিশিরের ছেলে শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। তার পর থেকেই অধিকারীদের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূলের। একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচার পর্বে এগরায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় শিশির অধিকারীকে প্রথম বিজেপির মঞ্চে দেখা যায়৷ পরে কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী সভাতেও তিনি যোগ দেন৷ দুটি সভাতেই বিজেপিকে জেতানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন শিশির অধিকারী৷ যদিও বিধানসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর সক্রিয় রাজনীতিতে খুব একটা দেখা যায়নি তাঁকে৷ তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ এনে সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানায় তৃণমূল৷
জোড়াফুল শিবিরের অভিযোগ ছিল, শিশিরবাবু ধারাবাহিকভাবে দল বিরোধী মন্তব্য করেছেন৷ বিজেপি প্রার্থীদের জেতানোর কথা বলেছেন৷ তাই তাঁর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে করে তৃণমূল৷ সেই আবেদন করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে শিশির দাবি করেন, ‘অনেকে অনেক কিছু বলছেন। কিন্তু আমি কোনও দলের পতাকা হাতে নিইনি। আমি তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব।’