শরীর ভাল রাখতে বাড়িতে তৈরি খাবারের বিকল্প নেই। বাড়ির বাইরের খাবার মানেই বহু বার ব্যবহৃত তেল, অতিরিক্তি মশলা, প্রসেসড ফুড৷ এর কুপ্রভাব আমাদের সকলেরই জানা। অন্যদিকে বাড়িতে রান্না করা খাবার মানেই প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে পরিপূর্ণ আহার। কিন্ত, ঠিক এর উল্টোটা হলে? বিশেষজ্ঞদের (Nutritionist) মতে, খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে সঠিক পুষ্টি যাচ্ছে কি না, তা রান্নার পদ্ধতির উপর নির্ভর করে।বাড়িতে রান্না করা খাবার যথেষ্ট সুরক্ষিত, এই নিয়ে দ্বিমত নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে রান্নায় পদ্ধতিগত ভুলের কারণে খাবারে থাকা পুষ্টির সঠিক পরিমাণ আমাদের শরীর পায় না। খাবারের পুষ্টি যাতে সঠিক মাত্রায় আমাদের শরীরে পৌঁছয়, তার জন্য মেনে চলুন এই বিষয়গুলি।
১. রান্নার আগে শস্য বারবার ধোবেন না।
২. ফল ও সবজি কাটার পর ধোবেন না।
৩. সবজি কাটার পর দীর্ঘক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখবেন না।
৪. রান্নার পর বাড়তি জল ফেলে দেবেন না। সস বা ঝোল বানানোর কাজে ব্যবহার করুন। আরও ভাল হয় তরিতরকারি সেদ্ধ করতে একেবারে মেপে জল নিলে।
৫. যে পাত্রে রান্না করছেন সেটি ঢেকে রান্না করুন। মাঝে-মাঝে ঢাকা খুলে দেখে নেবেন যাতে রান্না তলা লেগে না যায়।
৭. কড়া করে ভাজা বা সেঁকার বদলে যদি প্রেশার কুকার বা স্টিম কুকিং করা যায় তা হলে খাবারে থাকা প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থগুলি নষ্ট হবে না।
৮. রোজকার খাদ্যতালিকায় অঙ্কুরিত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৯. ডাল ও তরিতরকারি রান্নায় বেকিং সোডার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। বেকিং সোডার বা সোডিয়াম বাইকার্বোনেট খাবারে থাকা ভিটামিন সি (Vitamin C), ভিটামিন ডি (Vitamin D), রাইবোফ্লেভিন (Riboflavin), থিয়ামিন (Thiamin) ও অ্যামিনো অ্যাসিড (Amino acid) নষ্ট করে দেয়।
১০. রান্নার পর বেঁচে যাওয়া তেল বারবার গরম বা ব্যবহার করবেন না। ভাল হয় রান্নার আগে তেল ঠিক করে মেপে নিয়ে কড়াই বা রান্নার পাত্রে ঢালুন। এর ফলে শরীরে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। এ ছাড়াও পেটের অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।