নয়াদিল্লি: বিশ্বকাপ (CWC 2023) শুরু হতে আর মাত্র তিন মাস। এদিকে সমস্যায় পড়েছেন ভারতের তারকা পেসার মহম্মদ শামি (Mohammad Shami)। স্ত্রী হাসিন জাহানের (Hasin Jahan) করা গার্হস্থ্য হিংসা মামলায় জেলও হতে পারে তাঁর। শামির বিরুদ্ধে ফৌজদারি পক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আলিপুর দায়রা আদালত। এবার সেই আদালতকেই এক মাসের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তা না হলে স্থগিতাদেশ (Stay Order) নিয়ে ফের বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। স্থগিতাদেশ উঠে গেলেই গ্রেফতার হতে পারেন শামি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (Chief Justice D Y Chandrachud) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।
২০১৮ সালের ৮ মার্চ ভারতীয় পেসারের বিরুদ্ধে যাদবপুর (Jadavpur) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা যায় আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। ২০১৯ সালের ২৯ অগাস্ট শামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: MS Dhoni | Birthday | ড্রিঙ্কস ব্রেকে পেপসি খেতেন ধোনি! জন্মদিনে ফাঁস করলেন সহ খেলোয়াড়
ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন শামি। নিম্ন আদালতের বিচারক ২০১৯ সালের ২ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতারের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেন। কিন্তু এরপরেই বিচার প্রক্রিয়া প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়ে। মামলার কোনও অগ্রগতি হয়নি। হয়নি কোনও শুনানিও। কলকাতা হাইকোর্টে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত এগোনোর আবেদন করেন হাসিন কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট হাসিনকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
এরপরেই দ্রুত মামলা এগোতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবারের নির্দেশে এক মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে আলিপুর আদালতকে। না হলে স্থগিতাদেশ তুলে নিতে হতে পারে, নিদেনপক্ষে সংশোধন করতেই হবে।
শামির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা ছাড়াও নানাবিধ বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন হাসিন। এমনকী ভারতীয় (India Team) দলের হয়ে বিদেশ সফরে টিম হোটেলে যৌনকর্মীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগও করেছিলেন। এই কুকর্মের জন্য আলাদা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন শামি, অভিযোগ ছিল এমনটাও। সেই মোবাইল এখন পুলিশের জিম্মায়। প্রসঙ্গত, স্ত্রী হাসিনকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতার এক আদালত।