ইম্ফল: মণিপুরের (Manipur) বিষ্ণুপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ চেকিংপয়েন্ট থেকে সরানো হল অসম রাইফেলস (Assam Rifles) বাহিনীকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ। যার জেরে অসম রাইফেলসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তারা FIR দায়ের করল মণিপুর পুলিশ (Manipur Police)। অন্যদিকে, প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের জন্যই ইম্ফল পূর্ব ও ইম্ফল পশ্চিম জেলায় কারফিউ (Curfew) শিথিল করা হয়েছে।
চূড়াচাঁদপুর-বিষ্ণুপুর সীমান্তের একটি মূল চেকপোস্টে। ওই এলাকায় কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে বারবার জাতি সংঘর্ষে ছড়িয়েছে। জাতি সংঘর্ষ রুখতে ওই সীমান্তে আসাম রাইফেল সহ কেন্দ্রীয় বাহিনী মণিপুরে মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ, অসম রাইফেলসের কর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। তারা একটি শ্রেণিকে আড়াল করছে। পাশাপাশি তারা তারা মণিপুর পুলিশের ডিউটিতে বাধা দিচ্ছে। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে মণিপুর পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি বাহিনী সরানোর দাবিতে সোমবার ইম্ফল পশ্চিম এবং ইম্ফল পূর্ব জেলায় একাধিক স্থানে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এরপরই বিষ্ণুপুরের মইরাং লামখাল চেকপোস্ট থেকে আসাম রাইফেলসকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অসম রাইফেলসের সঙ্গে মণিপুর পুলিশের জওয়ানদের বিবাদ নতুন কিছু নয়। এর আগেও অসম রাইফেলসের জওয়ানদের সঙ্গে বিবাদের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল। এবার অসম রাইফেলসের একাংশের বিরুদ্ধে এফআইআর করল মণিপুর পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ডিউটিতে অসম রাইফেলস কেন বাধা দিচ্ছে। তিন মাস ধরে মণিপুর পুলিশের কমান্ডোদের সঙ্গে অসম রাইফেলসের বচসার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। এদিকে শনিবার সকালে কাওকতা এলাকায় তিনজনকে নিকেশ করার অভিযোগও উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: রাহুলের অনাস্থা-ভাষণ দুপুর ১২টায়, সংসদের বাইরে আসরে বিজেপি
মণিপুর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর জেলার মোইরাং লামখাই চেকপয়েন্ট থেকে অসম রাইফেলস বাহিনীকে সরানোর জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়। মণিপুর পুলিশের অতিরিক্ত ডিজিপি নির্দেশিকায় জানান, বিষ্ণপুর-কাংভাই রোডে চেকপয়েন্টে ৯ অসম রাইফেলসের জায়গায় আসবে সিআরপিএফ। নির্দেশিকা জারির সঙ্গে সঙ্গেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, গত তিন মাস বেশি সময় ধরে মেতেই-কুকি জাতি হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। অশান্তি থামাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তাতেও এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে মণিপুর ও মোদি সরকার। বিরোধীদের দাবি মণিপুর নিয়ে সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দিতে হবে।