মুম্বই: জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে টাকাটাই তাঁর কাছে মনে হয়েছিল সব। টাকা না থাকলে, ক্যানসারের মতো ব্যয়বহুল রোগের চিকিত্সা করাবেন কী করে! তাই ডুবন্ত মানুষের খড়কুটো আঁকড়ে বাঁচার মতো, তাঁরও মনে হয়েছিল টাকাটা চাই-ই। অর্থ অনর্থের কারণ হয়ে উঠতে পারে, এটা মহিলার (Zimbabwean woman) অজানা ছিল না। কিন্তু, জীবনের কঠিন এক লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়ে, সেসব নীতিপাঠ হেলায় অবজ্ঞা করেছেন। লোভনীয় টাকার হাতছানিতে নিষিদ্ধ মাদকের চোরাচালানে সানন্দে রাজি হয়ে যান। অগত্যা, যা হওয়ার ছিল, তাই হয়েছে। মুম্বই (Mumbai Airport) বিমানবন্দরে পৌঁছনো মাত্র আবগারি দফতরের (Mumbai customs) হাতে ধরা পড়ে গেলেন ওই বিদেশিনি। মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬০ কোটি টাকার মাদক (Smuggling drugs in India)।
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, জিম্বাবোয়ের (Zimbabwean woman) ওই মহিলা ভারতে নিষিদ্ধ মাদক পাচারের (Smuggling drugs in India) চেষ্টা করেছিলেন। রোয়ান্ডএয়ারের ফ্লাইট WB-500-এর মাধ্যমে হারারে থেকে কিগালি হয়ে তিনি মুম্বই পৌঁছন। বিমানবন্দরের বাইরে বেরোনোর আগেই আবগারি (Mumbai customs) দফতরের আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়ে যান। তাঁকে আটক করে, ৬০ কোটি মূল্যের নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়।
আরও পড়ুন TMC Media Coordinator: তৃণমূলের মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর কুণাল, চন্দ্রিমা ও অরূপ, বাদ আইটি সেল
এক আবগারি কর্তা জানান, গ্রেফতার হওয়া ওই মহিলার নাম রোসি। সম্পূর্ণ নাম গোপন রাখা হয়। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। ওই বিদেশিনিকে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানতে পারেন চিকিৎসার যাবতীয় খরচ মেটানোর জন্য মাদকের চোরাচালানে তিনি রাজি হয়েছেন।পাচারকারীরা তাঁর আর্থিক অসহায়তার সুযোগ নিয়ে তাঁকে এ কাজে বাধ্য করেছেন।
জেরায় মহিলা জানান, হারারে বিমান বন্দরে তাঁর হাতে ওই মাদক তুলে দেয় পাচারকারীরা। বলা হয়, নয়াদিল্লিতে মাদক পৌঁছে দেওয়ার জন্য। পরিবর্তে চিকিত্সার সব খরচ তারা মেটাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের মধ্যে হেরোইন ছাড়াও রয়েছে মেথামফেটামিন। একটি ট্রলি ব্যাগে ওই মাদক লুকিয়ে রাখা ছিল।
এই চোরাচালানের খবর আবগারি কর্তারা আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন। সেইমতো কাস্টমস এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট তৈরি ছিল। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি বিমানবন্দরে শনিবার বিমান ল্যান্ড করা মাত্র জিম্বাবোয়ের ওই মহিলাকে আটক করে, পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।