অযোধ্যা : রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে সেজে উঠেছে অযোধ্যা। দেশ ও বিদেশের খ্যাতনামী ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছেছে আমন্ত্রণপত্র। রামমন্দির উদ্বোধনের আগে ১১ দিনের জন্য ব্রতপালন শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সাধুসন্তদের উপদেশ মেনে এবং ধর্মগ্রন্থে উল্লিখিত বিধি অনুসারে এই ১১ দিন তিনি কঠোর অনুশাসন মেনে চলবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনও খামতি যাতে না থাকে সে দিকে নজর রাখছেন আদিত্যনাথ। রামলালার নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বাছাই করা ২০০ অফিসার এবং কর্মীকে।
আরও পড়ুন, ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ, ধোঁয়াশায় পুলিশ
২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পরিচালক মোহন ভগবত এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তির উপস্থিতিতে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন, সমস্ত প্রতিষ্ঠানের আচার্যরা, একশো পঞ্চাশের বেশি বিভিন্ন মত পন্থের সাধু ও সন্ন্যাসী এবং পঞ্চাশের বেশি আদিবাসী, জনজাতি শ্রেণির শীর্ষ নেতৃত্ব। থাকছেন জৈন, বুদ্ধ, শিখ সমাজের ধর্মীয় নেতারা।
শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট রামমন্দির উদ্বোধনের দিন পর্যন্ত নির্ধারিত কর্মসূচির তালিকা প্রকাশ করেছে। ২২ জানুয়ারি অর্থাৎ পৌষ মাসের শুক্ল কুর্ম দ্বাদশী, বিক্রম সম্বত ২০৮০ এর অভিজিৎ মুহূর্তে মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে। তার আগে পর্যন্ত শাস্ত্রীয় নিয়ম মেনে বেশ কিছু আচার পালন করা হবে। ১৬ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বাদশ অধিবাস নিয়মের পালন করা হবে। ১২১ জন আচার্য মিলে প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের নিয়ম পালন করবেন।
এই ছয় দিন এই নিয়মগুলি পালন করা হবে
১৬ জানুয়ারি : প্রায়শ্চিত্ত এবং কর্মকুটি পুজো।
১৭ জানুয়ারি : মূর্তি পরিসর প্রবেশ পুজো।
১৮ জানুয়ারি বিকেল : তীর্থপুজো, জলযাত্রা এবং গন্ধাধিবাস।
১৯ জানুয়ারি সকাল : ঔষধাধিবাস, কেসরাধিবাস এবং ঘৃতাধিবাস।
১৯ জানুয়ারি বিকেল : ধন্যধিবাস।
২০ জানুয়ারি সকাল : শর্করাধিবাস, ফলাধিবাস।
২০ জানুয়ারি বিকেল : পুষ্পধিবাস।
২১ জানুয়ারি সকাল : মধ্যধিবাস।
২১ জানুয়ারি বিকেল : সহ্যধিবাস।
জ্ঞানেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড় ও কাশীর প্রধান আচার্য লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত সমস্ত বিষটির দেখাশোনা করবেন।
আরও অন্য খবর দেখুন