নয়াদিল্লি: মুহূর্ত খানেক আগে তিনি সরব হয়েছিলেন৷ সংসদীয় রাজনীতির ধারা বেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Govornment) বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ আঙুল তুলেছিলেন৷ যাঁদের দিকে আঙুল তুলেছিলেন তাঁদের মধ্যে সেই মানুষটাও ছিলেন৷ আর কিছু বাদেই সেই দুই শীর্ষ রাজনৈতিক (যুযুধান দুই দলের) নেতৃত্বের সৌজন্য (Decency) বা সামান্য খুনসুঁটি যেন রাজনীতির নতুন উষ্ণতা নিয়ে এল৷ শীতের রাজধানীতে যেন নব্য বসন্তের ছোঁয়া এল৷
প্রথমজন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ দ্বিতীয়জন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজনীতির বাইরে এই দু’জনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক সবসময় আলাদা৷ দিল্লির অলিন্দে কান পাতলে শোনা যায় ব্যক্তি রাজনাথ বা ব্যক্তি সুদীপের খোশগল্পের হাজারো কথা৷ আর তাঁরাই সংসদে একে অপরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে (অবশ্যই সংসদীয় রীতি মেনে) পিছপা হননি কোনওদিন৷ আবার রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতাকে সঙ্গে নিয়ে আক্রমণের পথে গিয়েছেন বারবার৷ ঠিক যেমনটি আজও হয়েছিল৷
আরও পড়ুন: বিএসএফের ক্ষমতা-মূল্যবৃদ্ধি-সহ সর্বদলে ১০ দাবিতে সরব তৃণমূল
চলছিল সর্বদলীয় বৈঠক৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দশ দফা দাবি নিয়ে সরব হয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একাধিক যুক্তি জালে কেন্দ্রকে বিদ্ধ করেছিলেন৷ কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ মন্ত্রী হিসেবে মুখ খুলেছিলেন রাজনাথ সিংও৷ বৈঠক শেষ হয়েছিল৷ গণতান্ত্রিক রীতি মেনে সাংবাদিকদের নিজেদের দাবি-দাওয়ার কথা জানাচ্ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তখন পিছন থেকে আসছিলেন স্বয়ং রাজনাথ৷ সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের আনন্দ শর্মাও৷
পিছন থেকে এসে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই কাঁধে আলতো ছোঁয়া দিলেন রাজনাথ৷ হাসির ছলে৷ বন্ধুত্বের ছলে সৌজন্য দেখিয়ে ঘুরে তাকালেন সুদীপ৷ দিলেন প্রাণখোলা হাসি৷ তখন তাঁরা রাজনৈতিক নেতা নন৷ দীর্ঘদিনের বন্ধু৷ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাজনীতির অনেক উর্ধ্বে৷ রাজনাথ শুনলেন সুদীপ তখন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেই সাংবাদিকদের কাছে সরব হচ্ছেন৷ সেখানেও এক সৌজন্য৷ বলতে থাকো…৷ সুদীপের দিকে হাসতে হাসতে চলে গেলেন রাজনাথ৷
আরও পড়ুন: রাজ্যের মানুষ অপমানের জবাব দিয়েছেন, জয়ের পর বললেন বিপ্লব
নভেম্বরের শেষে সংসদ খোলার উষ্ণতার আগের দিন দিল্লির শীতের ছোঁয়ায় রাজনীতির সৌজন্য দেখলেন দেশের মানুষ৷