নয়াদিল্লি: নাম না করে ফের গান্ধী পরিবারকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ রবিরাব বিজেপির কার্যনির্বাহী সভায় উপস্থিত নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে ভাষণ দেন মোদি৷ তিনি বলেন, ‘বিজেপি পরিবারকেন্দ্রিক দল নয়। বরং, মানুষের দল, জনকল্যাণ বিজেপির মূল মন্ত্র। আর এতেই বিজেপির বাড়বাড়ন্ত।’
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে সম্ভবত এটাই কেন্দ্রীয় শাসকদলের শেষ জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক৷ এই বৈঠকের উদ্বোধনে বক্তব্য রাখেন দলের জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বৈঠক শেষে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ভাষণেই নাম না করে গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করেন মোদি৷ তাঁর দাবি, ‘প্রতিশ্রুতি পূরণ, মানুষের হয়ে কাজ করায় বিশ্বাসী ভারতীয় জনতা পার্টি। এটাই দলকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। সবসময় মানুষের সঙ্গ পেয়েছে। কোনও পরিবারকে কেন্দ্র করে এই দল এগোয়নি। সেবা, সংকল্প , সমর্পণ–এই তিন মন্ত্রে কাজ করে বিজেপি।’
BJP not centred around any family, its values are 'sewa, sankalp, samarpan': PM Modi at national executive meeting
— Press Trust of India (@PTI_News) November 7, 2021
বক্তব্য রাখেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা৷রবিবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে শ্যামাপ্রসাদের জন্মস্থানে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেন৷ তিনি বলেন, ‘আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের আশ্বস্ত করছি, আমরা আপনাদের পাশে আছি৷ রাজ্যে নতুন করে আমাদের পথ চলা শুরু হবে৷’
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় রকেট গতিতে বিজেপির উত্থান হয়েছিল৷ প্রবল মোদি হাওয়ায় ভর করে বাংলা থেকে ১৮টি লোকসভা আসনে পদ্ম ফুটিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিল বিজেপি৷ কিন্তু দু’বছরের মধ্যে পুরো চিত্র বদল৷ ২১-এর বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিধ্বস্ত হয় গেরুয়া শিবির৷ এজন্য দলের নেতাদের অতিরিক্ত আত্মতুষ্টি এবং কিছু ভুল-ভাল সিদ্ধান্তকে দায়ী করে রাজনৈতিক মহল৷ তৃণমূলের বিরাট জয়ের পর রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ সামনে এসেছে৷ নেতাদের বিরুদ্ধে কর্মীদের পাশে না দাঁড়ানোর অভিযোগ উঠেছে৷ ফলে কর্মীদের মনোবল তলানিতে৷ তার প্রভাব পড়ছে সংগঠনে৷
আরও পড়ুন: হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে বেআইনি কার্যকলাপ আইনে ১০২টি মামলা, কড়া নিন্দা ত্রিপুরা সিপিএমের
সেটা বিলক্ষণ বুঝতে পেরে কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও এদিন দিয়েছেন জেপি নাড্ডা৷ বুঝিয়ে দিয়েছেন, পায়ের তলার মাটি শক্ত করে আবার রাজ্যে তৃণমূলের বিকল্প শক্তি হিসেবে উঠে আসবে বিজেপি৷ সেই সঙ্গে দলের নেতাদের নতুন টার্গেট ধরিয়ে দিয়েছেন নাড্ডা৷ তিনি বলেন, ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বুথস্তরের কমিটিগুলি গঠন সেরে ফেলতে হবে৷ বাংলার নির্বাচন ও উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হলেও নাড্ডার দাবি, অন্যান্য জায়গায় দলের ভোটবৃদ্ধি হয়েছে৷ উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির ভোটের হার বেড়েছে৷ এদিনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারা৷