কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই৷ ১০৮টা পুরসভার নির্বাচন৷ তার আগে একটি ফোন কল যেন সবকিছু জল্পনার মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে৷ একটি অডিও বার্তা৷ যে অডিয়ো-র সতত্যা যাচাই করিনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল৷ যে অডিয়ো-র এক প্রান্তে এক বৃদ্ধের গলা৷ যিনি নিজেকে শিশির অধিকারী পরিচয় দিচ্ছেন৷ অপর প্রান্তে এক তরুণের গলা৷ যিনি নিজেকে নিত্যানন্দ বলে পরিচয় দিচ্ছেন৷ যিনি নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী৷
যাচাই না করা সেই অডিয়ো বার্তায় ওই বৃদ্ধা ভদ্র লোককে বলতে শোনা যাচ্ছে, শুভেন্দুর প্রার্থীকে জেতানোর ব্যবস্থা করে দিনি৷ প্রত্যুত্তরে, অপর জন বলছেন, কোন শুভেন্দু? ও যিনি বিজেপি করেন? নিজেকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিত্যানন্দ পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করতে শোনা গিয়েছে, ‘শুভেন্দু মানে কে স্যর? তখন শিশির পরিচয় দেওয়া সেই বৃদ্ধের মন্তব্য, ‘‘ সে আপনাকে দেখে নিতে হবে৷ আমি বলতে পারবো না৷’’
নিত্যানন্দ পরিচয় দেওয়া ওই তরুণের পাল্টা মন্তব্য, ‘‘শুভেন্দু তো বিজেপি করেন৷ আপনি কি তার মানে বিজেপিকে দেখতে বলছেন?’’ এই প্রশ্ন শুনেই যেন ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বৃদ্ধের গলাটা যেন ভারী হয়েছে যায়৷ শিশির পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি বলতে শুরু করেন, ‘‘আমি ভদ্র লোককে ভোট দিন৷ চোর-ডাকাতকে দেবেন না৷ তৃণমূল পার্টিতে যারা আছেন, তাদের আপনি আমার থেকে বেশি চেনেন…আমি খুব বিনীত ভাবে বলছি৷ এরপর নিত্যনন্দ পরিচয় দেওয়া তরণের খোঁচা,-আপনি যদি সাংসদ পদ ছেড়ে নেমে পড়তেন, তাহলে তৃণমূলে আর মাঠে থাকত না৷’’
এই কথা শুনেই শিশির পরিচয় দেওয়া কন্ঠস্বর তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন৷ বলতে শুরু করলেন, ‘‘আমি কেন নামব৷ আপনি তো পাকা জিনিস…৷ ভোটাধিকার নিজস্ব অধিকার৷’’ নিত্যনন্দ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির খোঁচা, ‘‘জয় বাংলা জয় বাংলা, বুড়ো বয়সে ভীমরতি৷’’
আরও পড়ুন- Russia Ukraine War: রুশদের ঠেকাতে শরীরে বোমা বেঁধে ব্রিজ ওড়ালেন ইউক্রেনীয় সেনা
অধিকারী পরিবার৷ গত বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই কাঁথির এই পরিবারকে নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে অনেক৷ তৃণমূলের থেকে অনেক সুবিধা নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছে৷ ভাই সৌমেন্দু অধিকারীও গেরেয়া পতাকা ধরেছেন৷ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখলেও ঘাসফুলের সাংসদ হিসাবে সুবিধা নিয়ে চলেছেন৷ শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের জন্য ইতিমধ্যে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে দরবার করেছে তৃণমূল৷ পরিস্থিতি যখন জটিল হচ্ছে, তখনই এমন ভাইরাল অডিয়ো ঘৃতাহূতি দিল বলে মনে করা হচ্ছে৷