কলকাতা: বাংলার দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত করছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের কাছে রাজ্য বহু দিন ধরে বঞ্চিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিভিন্ন রাজ্যের ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতী দিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাংলাকে স্বীকৃতি ধ্রুপদী ভাষা দেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, বাংলা ধ্রুপদী ভাষার (Bengali is a classical language) স্বীকৃতি দিতে হবে। এই আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমরা গবেষণামূলক তথ্য জোগাড় করে দেখেছি। আমরা অনেক পণ্ডিত ও অফিসারদের নিয়ে চার খণ্ডে প্রামাণ্য গবেষণাপত্র তৈরি করেছি। বাংলা ভাষার জন্ম ও বিবর্তন হয়েছে গত আড়াই হাজার বছর ধরে। এই ধ্রুপদী প্রাচীনতা এবার সরকারের স্বীকৃতির যোগ্য।
মমতা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, অন্য রাজ্যের ক্লাসিকাল ভাষা যদি স্বীকৃতি পায়, সে ক্ষেত্রে আমাদের ভাষা কেন পাবে না? আমাদের সবরকম পাওয়ার যোগ্যতা ছিল। কিন্তু আগের সরকার ক্ষমতায় ছিল তারা বাংলা ভাষার স্বীকৃতি নিয়ে ভাবিনি। তারা শুধু রাজনীতি নিয়ে ভাব তো। পাশাপাশি তিনি রাজ্যর নাম পরিবর্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিুনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলা রাজ্যের নামটি তারা দিচ্ছে না। বোম্বে থেকে মুম্বই হয়েছে, উড়িষ্যা থেকে ওড়িশা হয়েছে, রাজ্যের নাম বাংলা হলে আপত্তি কী, কী অপরাধ আমাদের। রাজ্যের নাম নিয়ে বিধানসভায় বিল পাশ হয়েছে, তাও আটকে রয়েছে। যে কোনও জায়গায় সব থেকে শেষে সুযোগ পাই আমরা।
আরও পড়ুন: এক দেশ, এক ভোটের বিরোধিতায় মমতা
কুম্ভ মেলাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, কুম্ভমেলা স্বীকৃতি পেয়েছে আমরা খুশি। কিন্তু গঙ্গাসাগরের মেলাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। বাংলার গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela 2024) কেন স্বীকৃতি পাবে না কেন? গঙ্গাসাগর মেলায় আমরা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা এবারও খরচ করেছি। কুম্ভ মেলা প্রতি বছর হয় না। কিন্তু গঙ্গাসাগর প্রতি বছর হয়। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি দ্বীপের উপর গঙ্গাসাগর অবস্থিত। জল পেরিয়ে প্রত্যেকটা মানুষকে যেতে হয়। এক কোটি লোক সেখানে যাতায়াত করেন। কুম্ভ মেলা যদি সাহায্য পেতে পারে, বাংলা কেন সাহায্য পাবে না? বাংলার মেলা কেন জাতীয় মেলার স্বীকৃতি পাবে না? সেই নিয়েও আজ আমি চিঠি পাঠিয়েছি।
বিভিন্ন তীর্থস্থানের জন্য ৭০০ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। দিঘায় হিডকো জগন্নাথ ধাম করছে। এটাতেও আমরা ২০৫ কোটি টাকা খরচ করছি। কালীঘাট মন্দির শুধু রিলায়েন্স একা করছে না। ওনারা শুধু সোনার চূড়াটা করছেন। আর ভিতরের কিছু অংশের কাজ করছেন। আমরা ১৬৫ কোটি টাকা খরচ করেছি।
আরও অন্য খবর দেখুন