ম্যাঞ্চেস্টার: মার্কাস র্যাশফোর্ডের (Marcus Rashford) স্বপ্নের দৌড় অব্যাহত। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ওল্ড ট্রাফোর্ডে (Old Trafford) লেস্টার সিটির (Leicester City) বিরুদ্ধে জোড়া গোল করলেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগে এই নিয়ে ১৪টা গোল হয়ে গেল তাঁর। সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে করেছেন ২৪ গোল, যা এ যাবত কোনও মরশুমে তাঁর সর্বোচ্চ। ফর্মের বিচারে এই মুহূর্তে পৃথিবীর সেরা ফুটবলার বলা যায় তাঁকে। বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে সব থেকে বেশি গোল র্যাশফোর্ডেরই। হ্যাঁ, লিওনেল মেসি (Lionel Messi), ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo), নেইমার, কিলিয়ান এমবাপে, এর্লিং হালান্ড, হ্যারি কেনদের সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি।
র্যাশফোর্ডের মতো দুরন্ত ফর্মে তাঁর ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডও। এদিন লেস্টারকে ৩-০ ফলাফলে উড়িয়ে দিল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে রেড ডেভিলরা যে ফুটবল খেলেছে তা দেখলে রোমাঞ্চিত হবে যে কোনও ফুটবলপ্রেমী। র্যাশফোর্ড, ব্রুনো ফার্নান্ডেজ (Bruno Fernandez), জেডন স্যাঞ্চোরা লেস্টারের রক্ষণ নিয়ে ছিনিমিনি খেললেন। পরিবর্ত হিসেবে নেমে গোল করলেন স্যাঞ্চো। তবে এদিনের আসল নায়ক ব্রুনো। দুটো অ্যাসিস্ট করলেন, মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণ করলেন এবং সারাক্ষণ বিপক্ষের খেলোয়াড়দের তাড়া করে বেড়ালেন। ম্যাচের পর বিশেষ করে তাঁর প্রশংসা শোনা গেল কোচ এরিক টেন হাগের (Eric Ten Hag) মুখে।
আরও পড়ুন: Ranji Trophy Final: জয়দেবের জয়ধ্বনি! স্বপ্ন অধরা মনোজের
তবে প্রথমার্ধের ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। ম্যান ইউ রক্ষণকে বারবার বেকায়দায় ফেলছিল লেস্টার। অন্তত দুটো গোল হজম করতে পারত ওল্ড ট্রাফোর্ডের ক্লাব। ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান গোলকিপার দাভিদ দে হেয়া। এদিনের পর প্রিমিয়ার লিগে তাঁর ক্লিন শিটের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮০। ক্লাবের কিংবদন্তি গোলকিপার পিটার স্মাইকেলকে ছুঁলেন তিনি। দে হেয়ার প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি টেন হাগ।
তবে প্রথমার্ধে দলের খেলায় তুমুল বিরক্ত তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে টেন হাগ বলেন, প্রথমার্ধে দলের পারফর্ম্যান্সে আমি খুবই অখুশি। আমাদের খেলার যে ধরন সেই অনুযায়ী নিয়ম নীতি অনুসরণ করতে হয়। যখনই তা করা হবে না, ভুলভাল খেলা হবে। দাভিদ দে হেয়ার জন্য আমরা গোল খাইনি। ব্রুনোর দারুণ পাসে র্যাশফোর্ড গোল করেছে। ওটুকু ছাড়া প্রথমার্ধে জঘন্য খেলা হয়েছে। হাফটাইমে সেটা নিয়ে যে ফুটবলারদের ভালোই বকাঝকা করেছেন তাতে সন্দেহ নেই। মাঠে ফিরে দেখা যায় অন্য ম্যান ইউকে। লেস্টারকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি হাওয়া করে দেয় তারা।