জয়পুর: এই আইপিএলের আবিষ্কার ২১ বছর বয়সি ডান হাতি পেসার মায়াঙ্ক যাদব (Mayank Yadav)। লখনউ সুপার জায়ান্টসের (LSG) বোলারের ভয়ঙ্কর গতি চমকে দিয়েছে সবাইকে। এ মরসুমের দ্রততম বলটি করে ফেলেছেন তিনি, ঘণ্টায় ১৫৬.৭ কিমি গতিতে। প্রতিপক্ষ শিবিরের খেলোয়াড়রাও মায়াঙ্কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। যেমন রাজস্থান রয়্যালসের যুজবেন্দ্র চাহাল (Yuzhvendra Chahal)। তিনি মনে করছেন, ১৬০ কিমি গতি তোলার ক্ষমতা রাখেন মায়াঙ্ক।
চাহাল বলেন, “ভারতীয় কেউ ফাস্ট বল করছে দেখলে খুবই ভালো লাগে। ওর বয়স খুবই কম, আমি চাই মায়াঙ্ক ১৬০ কিমি গতিতে বল করুক।” প্রসঙ্গত, গতি মাপার যন্ত্র ‘স্পিড গান’ আসার পর ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতি তুলতে পেরেছেন মাত্র চারজন বোলার— শোয়েব আখতার, ব্রেট লি, শন টেট এবং মিচেল স্টার্ক।
আরও পড়ুন: আজ পঞ্জাবের মুখোমুখি মোহনবাগান, জেতা ছাড়া উপায় নেই
একজন পেস বোলারের সবথেকে বড় অস্ত্র পেস। খাঁটি পেসের আজও কোনও বিকল্প নেই। তা ফের প্রমাণ করছেন ‘আনকোরা’ মায়াঙ্ক । এবারের আইপিএলে (IPL 2024) লখনউ সুপার জায়ান্টসের (LSG) হয়ে যেদিন প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন, ১৫৫.৮ কিমি প্রতি ঘণ্টায় বল করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। সে ম্যাচে দেড়শোর উপরে বল করে যান হামেশাই। ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হন ম্যান অফ দ্য ম্যাচ।
গত মঙ্গলবার বিরাট কোহলির (Virat Kohli) আরসিবির (RCB) বিরুদ্ধে ফের এক্সপ্রেস গতিতে বল করতে শুরু করেন মায়াঙ্ক। নিজের রেকর্ড ভেঙে একটি ডেলিভারি করেন ১৫৬.৭ কিমি গতিতে। সেদিন চার ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন, এবং আবারও ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। ক্যামেরন গ্রিনকে (Cameron Green) যে ডেলিভারিতে বোল্ড করেছিলেন তা এখন পর্যন্ত আইপিএলের সেরা বললে অত্যুক্তি হবে না। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও (Glen Maxwell) মায়াঙ্কের গতিতে সামলাতে না পেরে আউট হন।
দেখুন অন্য খবর: