প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঘিরে ফের বিতর্ক। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা ৮২ নম্বর পেলেই তাঁদের উত্তীর্ণ বলে ধরা হবে। এদিকে পর্ষদের সাম্প্রতিক এক বিজ্ঞপ্তিতে শুধু ২০১৭ সালের পরীক্ষার্থীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীদের কোনও উল্লেখ নেই। এতেই প্রশ্ন তুলেছেন ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা।
সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের টেট চাকরিপ্রার্থীরা বুধবার এই ব্যাপারে আদালতে যাচ্ছেন। তাঁদের প্রশ্ন, ২০১৭ সালের প্রার্থীরা সুযোগ পেলে ২০১৪ সালের প্রার্ছীরা কেন বঞ্চিত হবেন। ২০১৪ এবং ২০১৭ সাল মিলিয়ে লক্ষাধিক প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার কথা।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে চাকরিপ্রার্থীরা ফের ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন উচ্চ প্রাথমিক, এসএসসি গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি, ২০১৪ টেট পাশ নট ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। সোমবার গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে শহীদ মিনার ময়দানে শিখ সমাবেশে ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সভা ছিল বলে কলকাতা পুলিশ ওইদিন তাঁদের ধরনায় বসতে বারণ করেছিল। পুলিশের অনুরোধ মেনেই তাঁরা সোমবার ধরনায় বসেননি। আন্দোলনকারীদের কথায়, আমরা তো পুলিশ এবং সরকারের সঙ্গে সব রকমের সহযোগিতা করছি। তাহলে সরকার আমাদের দিকে তাকাচ্ছে না কেন। এদিন সকাল থেকেই চাকরিপ্রার্থীরা ধর্মতলায় অবস্থান মঞ্চে হাজির হন। প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন টাঙাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা বলেন, দাবি না মেটা পর্যন্ত আমাদের অবস্থান চলবে।
আরও পড়ুন:Dhupguri: সাময়িক স্মৃতিভ্রষ্টকে ঘরে ফেরাল মানবিক পুলিশ
এদিন উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান মঞ্চে রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে শুক-সারির দ্বন্দ্ব তুলে ধরেন অভিনয়ের মাধ্যমে। সেখানে শুক হচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং সারি হলেন চাকরিপ্রার্থীরা। উচ্চ প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চলছে ১৩৯ দিন ধরে।