জয়নগর: জয়নগরের (Joynagar) তৃণমূল নেতা খুনে দোলুয়াখাঁকি যোগ ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। ঘটনার মাস্টারমাইন্ড দোলুয়াখাঁকির আনিসুর লস্কর বলে এখনও পর্যন্ত তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। মৃত তৃণমূল নেতা পরিবারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর (FIR) করা হয়েছে সেখানে তার নামও রয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একমাত্র ধৃত শাহরুল যে বড়ভাইয়ের কথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিল তার আসল নাম আলাউদ্দিন সাঁপুই। যিনি মন্দিরবাজার থানা এলাকার টেকপাঁজার বাসিন্দা। এলাকায় সিপিএম (CPM) নেতা হিসেবে পরিচিত। যার বাড়িতে ধৃত শাহরুলকে রাখা হয়েছিল চালতাবেড়িয়ার বাসিন্দা মোতালেফ তিনিও এলাকায় CP(I)M কর্মী হিসেবে পরিচিত। খুনের সময় যে বাইক ব্যবহার করা হয়েছিল তা মফিজুল রহমান লস্করের নামে। এরা প্রত্যেকেই ঘটনার পর থেকে বাড়িছাড়া। এদের প্রত্যেকের মোবাইল ফোনও বন্ধ।
কেন এই খুন-
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপারি কিলার দিয়েই খুন করা হয়েছিল। খুনের আগে রীতিমতো রেইকি করা হয়। ফলে সবটাই পরিকল্পনামাফিক। কারণ হিসেবে উঠে আসছে দুটি তথ্য –
১) ক্রমশ এলাকার শেষকথা হয়ে উঠছিলেন সাইফুদ্দিন। দারিদ্র এলাকায় তাঁর এই উত্থান। বিরাট অট্টালিকা বাড়ি, শাসকদলের বিধায়ক, নেতাদের সঙ্গে দহরমমহরম সবকিছু নিয়ে তিনি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছিলেন।
২) এলাকায় একটি জায়গা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। সেই কারণও হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
কোন পথে চলছে এই তদন্ত
জয়নগর, বকুলতলা, কুলতলি, বারুইপুর থানার পিসি পার্টির ইনচার্জ ও তাঁদের টিমকে এই ঘটনার তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বারুইপুর জেলা মাথার উপরে রয়েছেন পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ, এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস।
কোথায় কোথায় তল্লাশি অভিযান –
বারুইপুর, জয়নগর, কুলতলি এলাকার পাশাপাশি ডায়মন্ডহারবার, মন্দিরবাজার ও কলকাতার নানান জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে। অভিযুক্তরা ফেরিওয়লার কাজ ও দর্জির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই পেশায় যুক্তদের সঙ্গে কথা বলে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে একাধিক নাম পুলিশের কাছে থাকলেও তারা সকলেই পলাতক। মোবাইল ফোনও বন্ধ। ফলে তৃণমুল নেতা খুনে জড়িতদের ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে।