skip to content
Sunday, July 7, 2024

skip to content
Homeফিচারবঙ্গ বিজেপিকে দেখলে মনে হয় না, তারা রেজিমেন্টেড পার্টি

বঙ্গ বিজেপিকে দেখলে মনে হয় না, তারা রেজিমেন্টেড পার্টি

Follow Us :

বিজেপি নাকি রেজিমেন্টেড পার্টি। বিজেপি নাকি অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ক্যাডার বেসড পার্টি। সেই রেজিমেন্টেড পার্টির বাংলা শাখার কী করুণ অবস্থা। দেখলেও করুণা হয়। এরা ভেবেছিল, বিধানসভা ভোটে বাংলা দখল করবে। তার জন্য কিছু করতে আর বাকি রাখেনি বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে তাবড় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা কার্যত ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন বাংলায় ভোটের আগে। ভিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা দফায় দফায় প্রচারে এসেছেন।

অমিত শাহ বুক বাজিয়ে ‘অব কি বার, দুশো পার’ আওয়াজ তুলে বাংলা মাতিয়েছেন। দলে দলে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী ক্ষমতায় আসবে বলে বিজেপিতে ভিড়েছেন। আর তাঁদের নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কী আদিখ্যেতা। তৃণমূলের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে চার্টার্ড বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল দিল্লিতে। রাতে অমিত শাহের বাড়িতে রাজীব আরও কয়েকজনকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন। খোদ অমিত শাহের হাত থেকে বিজেপির পতাকা নিলেন। আর ভোটের মুখে রাজীবের কী আগুনখেকো ভাষণ। শুনে মনে হচ্ছিল, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাদের থেকেও বড় বিজেপি রাজীব। ভোটের প্রচারে নেমে তৃনমূল এবং দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজীব কী না বলেছেন। তার জবাবে তৃনমূল।নেতারাও ছেড়ে কথা বলেননি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে মুখর হয়েছিলেন রাজীবের বিরুদ্ধে। বন দফতরে রাজীবের আমলে অনিয়ম হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাল্টা রাজীবের বক্তব্য ছিল, তিনিও হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবেন। বিজেপি সদ্য দলত্যাগী রাজীবকে কম গুরুত্ব দেয়নি। ভোটের পর রাজীব যখন বেসুরো, তখনও তাঁকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন : মহিলাদের প্রকৃত সম্মান দিতে জানে বিজেপি, সায়নীকে জবাব দিলীপের

তারপর কী হল? রাজীব আবার বিজেপিকে গালমন্দ করে তৃণমূলে ঢুকে পড়লেন। শুধু কি রাজীব? ভোটে বিপর্যয়ের পরেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া বহু নেতা পুরোনো দলে পুনর্বাসন পেলেন। টলিউডের বহু তারকাকেও ভোটের আগে দলে নিয়েছিল বিজেপি। দলের নেতারা ভেবেছিলেন, এভাবে তারকাদের নিয়ে টলিউডে তৃণমূলের দাদাগিরি বন্ধ করা যাবে। তার জন্য দলের নেতাদের নিয়ে কমিটিও গঠন করা হল। অনেক তারকাকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থীও করা হল। বেশির ভাগই হারলেন। দুএকজন জিতলেন। এখনও বিজেপি ছাড়ার হিড়িক অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবারই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়ার কথা ট্যুইট করে জানিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বাংলার উন্নয়ন নিয়ে বিজেপির কোনও ভাবনা নেই। তাই তিনি দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। ভাবখানা এমন যেন, বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের এই পরাজিত বিজেপি প্রার্থী দলের খুব একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। গত মার্চ মাসে দলে যোগ দিয়ে শ্রাবন্তী বিজেপির জন্য কত কাজ করেছেন, বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন?

বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় ভোটে বিপর্যয়ের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন। শ্রাবন্তী দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করা মাত্রই ফণা তুলেছেন তথাগত। তিনি বলেছেন, ঘাড় থেকে আপদ বিদায় হল। ভোটের মুখে তিনি এই তারকাদেরই নগরীর নটি বলে কটাক্ষ করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, ভোট বিপর্যয়ের পর বিজেপিতে অন্তর্কলহ বেড়েই চলেছে। যে যাঁকে পারছেন, গাল দিচ্ছেন। তীর, পাল্টা তীর ছোড়া চলছে তো চলছেই। কে কাকে থামাবে? দিল্লির নেতারা ভোটে হারার পর আর বাংলামুখো হচ্ছেন না। মোদি, অমিত শাহের বুকবাজি আর দেখা যাচ্ছে না। কোথায় কৈলাস বিজয়বর্গিও, কোথায় শিবপ্রকাশ, কোথায় অরবিন্দ মেনন? অথচ এঁদের উপরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভোটের দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজ্য নেতৃত্বকে উপেক্ষা করে। তা নিয়েও বিস্তর জল ঘোলা হয়েছে। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। তাতেও দলের মধ্যে ক্ষরণ হয়েই চলেছে। দলের হাওড়া সদর জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চোর বলতে ছাড়েননি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সুকান্তকে বহিষ্কার করে দল কড়া মনোভাব দেখিয়েছে। তারপরেও সুরজিৎ দমেননি। দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তাঁর বিষোদ্গার অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন : কঙ্গনার ‘ভিক্ষা স্বাধীনতা’ মন্তব্যের বিরোধিতা পুর্ণেন্দু-মনোরঞ্জনের

ভোটের আগে বিজেপি নেতারা কত কিছুই না বলেছিলেন। কেউ বলেছিলেন, ক্ষমতায় এসে তৃণমূলের চামড়া গুটিয়ে দেব। কেউ আমলাদের হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, নাম টুকে রাখছি। ভোটের পর দেখে নেব। এখন কোথায় গেল সেই সব হুমকি? আর কিছু শোনা যাচ্ছে না। যে টলি তারকাদের ভোটের আগে বিজেপি দলে নিয়েছিল, তাঁরা প্রায় সকলেই দলের সংস্রব ত্যাগ করেছেন। এঁরা কেউ কেউ আবার তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে বসে আছেন। তাঁদের কেনই বা বিজেপি আদর করে ডেকে নিল, কেনই বা তাঁরা বিজেপি ছাড়ছেন, বোঝা মুশকিল। এই টলি তারকাদের দলে নেওয়া নিয়েও কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। ওই নেতাদের প্রতি তথাগত কুইঙ্গিতও করেছেন।
সব মিলিয়ে বিজেপিতে এখন কাদা ছোড়াছুড়ি তুঙ্গে। অথচ এই বিজেপিই বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখেছিল মাস কয়েক আগে। বলা ভালো, মোদি-শাহ জুটি স্বপ্ন দেখিয়েছিল। সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গিয়েছে। এখন বিজেপি ব্যস্ত আত্মকলহে।
তৃণমূল খেলা হবে স্লোগান দিয়েছিল। বিধানসভা ভোটের খেলায় তারা বিজেপিকে এক ডজন গোলে হারিয়েছে। এখন তাদের দেশ জুড়ে খেলার স্লোগান চলছে। বিজেপি ভোটের ময়দানে খেলবে কী, তারা নিজেদের মধ্যে আত্মঘাতী খেলায় মেতেছে। কে বলবে, বিজেপি একটা রেজিমেন্টেড পার্টি? অন্তত বঙ্গ বিজেপিকে দেখলে তো তা মনে হয় না।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Narendra Modi | মোদি ভগবান, ছবিতে দুধ দিয়ে স্নান করালেন! বাংলার বিজেপি নেতা
47:11
Video thumbnail
Mukul Roy | Kunal Ghosh | মুকুল রায় কেমন আছেন? কুণাল ঘোষ জানালেন
01:48:25
Video thumbnail
Suvendu Adhikari | গাড়িতে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু, তারপর কী হল দেখুন!
01:41:31
Video thumbnail
Digha | দীঘা ঘুরতে যাবেন? সুখবরটা জেনে নিন
01:05:15
Video thumbnail
Dilip Ghosh | দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! দেখুন চাঞ্চল্যকর ভিডিও
02:30:35
Video thumbnail
Mahua Moitra | ফের FIR-এর দাবি মহুয়ার বিরুদ্ধে, কী হতে চলেছে দেখুন
05:19:45
Video thumbnail
TMC | তোলা না পেয়ে তৃণমূল নেতার 'দাদাগিরি', বৃদ্ধাকে মারধর, অশালীন আচরণের অভিযোগ
02:24
Video thumbnail
North Bengal | লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ, প্রবল বৃষ্টিতে রেল লাইনে ধস
03:27
Video thumbnail
Rahul Gandhi | 'খেলা' শুরু গুজরাত থেকেই নতুন কংগ্রেসের শুরু বিরাট ঘোষণা রাহুল গান্ধীর
06:48:06
Video thumbnail
Dilip Ghosh | দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! দেখুন চাঞ্চল্যকর ভিডিও
00:00