কলকাতা: চোপড়া-কাণ্ডে (Chopra Assault) আরও দু’জন গ্রেফতার (Chopra Assault Two More Arrested) পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম তাহেরুল ইসলাম এবং আবদুল রফ। ধৃতদের মধ্যে একজন জেসিবির পরিবারের সদস্য বলেই খবর। যুবক-যুবতীকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত জেসিবি ওরফে তাজিমুল ইসলাম-সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হল।
গত ৩০ জুন চোপড়ায় (Chopra Assault Case) তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবির ‘দাদাগিরি’র ভিডিও ভাইরাল হয়। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি অনলাইন। বিবাহিত ওই দুই যুবক-যুবতী পরকিয়া সম্পর্কে জড়িত। এই অভিযোগে গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিপুল পরিমাণ টাকা চাওয়া হয়েছিল। তা দিতে রাজি না হওয়ায় চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা জেসিবি এবং তার বাহিনী রাস্তায় ফেলে যুবক-যুবতীকে বাঁশের একাধিক কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গোল করে প্রচুর লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। তার মাঝে জেসিবি কখনও যুবককে, কখনও যুবতীকে মারছে। যুবতীর চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অথচ কেউ রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসেনি। ওই ঘটনার পর বিধায়ক জেসিবির পাশে দাঁড়ান। মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে তাঁকে ধমক দেন। তাঁর নির্দেশে বিধায়ককে শো-কজ করা হয়েছে। তারপরও হামিদুল বুধবার বলেন, আমি কোনও দোষ করিনি। সংবাদমাধ্যম চোপড়া নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে।
রবিবার রাতেই তাজিমুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত, তার খোঁজও শুরু করে তারা। তদন্তে নেমে আরও একজনকে গ্রফতার করে পুলিশ। বুধবার রাতে আবদুল রউফ ও তাহিরুল ইসলাম নামে ওই দুজনকে গ্রফতার করেছে পুলিশ। ধৃত আবদুল রউফ চোপড়া সীমান্তের লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েতের মুন্সিটোলার বাসিন্দা। আবদুল রউফ আলমগঞ্জের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
অন্য খবর দেখুন