জলপাইগুড়ি: রেশনের সামগ্রী পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল রাজগঞ্জ থানার পুলিস। উদ্ধার করা হয়েছে ৫০০ বস্তা গম। একই সঙ্গে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে লরি৷ রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের ঘটনা৷
এ দিন দুপুরে রেশনের সামগ্রী পাচারের গোপন খবর আসে রাজগঞ্জ থানার পুলিস আধিকারিকের কাছে৷ সময় নষ্ট না করে সহকর্মীদের নিয়ে রওনা দেন ওই পুলিস আধিকারিক৷ তিনি জানতে পারেন, ৩১ডি জাতীয় সড়ক ধরে ময়নাগুড়ি থেকে শিলিগুড়ির দিকে লরি ভর্তি রেশন সামগ্রী পাচার হচ্ছে। এরপর, ফাটা পুকুরের জাতীয় সড়কের এলাকায় নাকা চেকিং শুরু করে পুলিস। বিকেলের দিকে নির্দিষ্ট নম্বরের লরিটি আসতেই দাড় করানো হয়৷ তল্লাশি চালাতেই অবাক পুলিস আধিকারিকরা৷ দেখা যায়, গোটা লরিটি গম বোঝাই বস্তা৷
আরও পড়ুন-অরুণাচলে চীনের গ্রাম তৈরির দাবি করে ‘প্রধানমন্ত্রীর নীরবতার’ নিন্দা কংগ্রেসের
সঙ্গে সঙ্গে লরি চালকের কাছে বৈধ কাগজ পত্র চাওয়া হয়৷ কিন্তু, লরির চালক-খালাসিরা কিছুই দেখাতে পারেননি৷ সঙ্গে সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
ঘটনায় রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার বলেন, লরি থেকে ৫০০টি গম বোঝাই বস্তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান এগুলি রেশন সামগ্রী। লরিটি ময়নাগুড়ি থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিলো। ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আগামিকাল সোমবার আদালতে তুলে হেফাজতে চাওয়া হবে৷ কারণ, এত পরিমাণ গম কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? কারাই বা এই পাচারের কাজে জড়িত রয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হবে৷