টলিবলি অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তার বিমানে করে যাতায়াত করা প্রায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারী করার মতো অভ্যেস। দেশের ভিতরে নানা রাজ্যে চলতে থাকে তাঁর শ্যুটিংয়ের কাজ। অন্যদিকে তাঁর পরিবার থাকে সিঙ্গাপুরে, তাই আন্তর্জাতিক বিমানে তাঁর নিত্য যাত্রা। তবে মঙ্গলবার সকালে এই বিমানে চড়া নিয়েই ঘটে গেল এক অপ্রীতিকর ঘটনা।
সাতসকালে বড়সড় বিপাকে পরলেন নায়িকা। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বোর্ডিংয়ের সময় ছিল ভোর ৪.৫৫ মিনিট। অভিনেত্রী পৌঁছেছিলেন ৫.১২ মিনিটে। মাত্র কিছুক্ষণের দেরির জন্যই বিমানে উঠতে পারলেন না ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। একটানা ৪০ মিনিট ধরে অনুরোধ, কাকুতি মিনতি, অবশেষে কান্নাকাটি করার পরও বিমানে উঠতে দিল না প্রথমসারির বিমান সংস্থা। আমদাবাদে যাওয়ার কথা ছিল নায়িকার । দিন-রাতের শ্যুটের সমস্তটাই বিফলে গেল।
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন । তিনি জানিয়েছেন, ভোরবেলা তিনি বিমান বন্দরে পৌঁছান। আমদাবাদের বিমান ধরার জন্য যাত্রীদের গেট নং ১৯-এ বোর্ডিংয়ের সময় ভোর ৪.৫৫ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিনেত্রীর পৌঁছতে সামান্য দেরি হতেই তাকে জানানো হয় বোর্ডিং হয়ে গিয়েছে। তাকে দেখতে না পেয়ে নির্দিষ্ট সময়ে নাকি তার নাম ধরে ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। ফোনেও নাকি যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু ঋতুপর্ণার দাবি, তার কাছে কোনও ফোন আসেনি, তার কাছে বোর্ডিং পাসও ছিল।ঋতুপর্ণা আরও জানান, গত কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি সাত থেকে আটবার এই সংস্থার বিমানে যাতায়াত করেছেন। শুধু তাই নয়, ঝামেলার সময়ে ঋতুপর্ণা দেখেন মাত্র ৫০ পা দূরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে বিমান। বিমানে ওঠবার সিঁড়িও খুলে নেওয়া হয়নি। তারপরেও তাকে চড়তে দেওয়া হল না। ফ্লাইট ছাড়ার ২৫ মিনিট আগে পৌঁছেও কেন তাকে বিমানে উঠতে দেওয়া হল না, এই প্রশ্নও তুলেছেন ঋতুপর্ণা। কখনও কখনও একটু দেরি হতেই পারে, তাহলে সেটা কি কনসিডার করা যায় না, ছবির কাজের জন্য তাঁকে সময় বের করতে হয়। তার শুটিং শিডিউল যে পুরো নষ্ট হয়ে গেল, তা নিয়েও মুখ খুলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
এই পোস্ট স্যোশাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে নেটিজেনদের অনেকেই যেমন তাঁকে সমর্থন করে বিমান সংস্থার প্রতি রাগ উড়ে দেয়, তেমনই আবার অনেকেই রসিকতা করে পোস্ট করে তবে আজকের অভিজ্ঞতার খুবই বিরক্ত ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।