কলকাতা: টানা কয়েক ঘণ্টার সওয়াল-জবাব চললেও পুরভোটে (KMC Election 2021) কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মামলার রায় দিল না হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি বলেন, মামলা নিষ্পতি হবে না। পরবর্তী শুনানি ২৩ ডিসেম্বর। কলকাতা পুরভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে কি না, সেই সংক্রান্ত নির্দেশ আজ (KMC Election 2021) রাতে বা শনিবার সকালে দেওয়া হবে। রায় হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে (Calcutta High Court) আপলোড হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ভোটাররা ভয়ে বুথে ভোট দিতে আসতে পারছেন না। এই অভিযোগ উঠলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে? ভোটের আগে থেকেই এলাকায় কি রুটমার্চ করছে পুলিশ, এই প্রশ্নও তোলেন তিনি। প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, সঠিকভাবে আদালতে তথ্য দিতে পারছেন না। তাহলে কীভাবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করবেন? নির্বাচন কমিশনের কোনও পরিকল্পনাই দেখতে পাচ্ছি না কেন? মুখে বলছেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করবেন অথচ কমিশনের কোনও পরিকল্পনা দেখতে পাচ্ছি না।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা জনস্বার্থ মামলা নয়। এখানে ভোট পরবর্তী মামলার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ৫ বিচারপতি বেঞ্চের তথ্য এই মামলায় যুক্ত করা হয়নি। এখানে প্রার্থীরা অভিযোগ করছে। ১৩ নভেম্বর, ১ ডিসেম্বর দুটি হুমকির অভিযোগ নিয়ে মামলা করা হয়েছে। এখানে অন্য কোনও অভিযোগ করা হয়নি। যে কটা অভিযোগ করা হয়েছে, সব কটির ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১ ডিসেম্বরের পর থেকে আর একটাও অভিযোগ কমিশনের দফতরে জমা পড়েনি। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে অন্যান্য রাজ্যের নির্বাচনের ক্ষেত্রে কমিশনের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে না, এখানে রাজনৈতিক দলগুলি কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তোলেন কেন?
আরও পড়ুন: KMC Election 2021: ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা, ৫০ জায়গায় নাকা চেকিং
প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনও ঘটনা ঘটলে কে দায়ী থাকবে? এর উত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার নেবে। মোট ২৭ হাজারের মতো কলকাতা পুলিশ রয়েছে। তার মধ্যে ১৮ হাজারের বেশি পুলিশ ভোটের কাজে যুক্ত রয়েছেন। আর বাকি ৫ হাজার থাকছে রাজ্য পুলিশ। প্রয়োজনে আরও পুলিশ দেওয়া হবে।