কলকাতা: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ( Sukanta Majumdar) দেখতে গেলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মিঠুন সন্দেশখালি ( Sandeshkhali) নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলে, মহিলারা নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে জেগে উঠেছে। সন্দেশখালিতে সত্যের বিস্ফোরণ ঘটেছে। তা থামার নয়।মহিলাদের এই আওয়াজ যেন না থামে। তিনি আরও বলেন, সুকান্ত সন্দেশখালিতে যেতে চাইছেন। মা বোনেদের সঙ্গে পাশে থাকতে চায়।
মিঠুনের স্পষ্ট বক্তব্য, সময় এসে গিয়েছে, জেগে উঠুন। যদি মহিলাদের সঙ্গে এরকম ব্যবহার হয়, তাহলে এর থেকে ঘৃণ্য কাজ আর কিছু হতে পারে না। রাজনীতি অন্য বিষয়। রাজনৈতিক লড়াই করব আমরা , কিন্তু এটা রাজনীতির বিষয় নয়। মা -বোনেদের উপর আর কোনও অত্যাচার যেন না হয়, তাঁরা নিজেদের সম্মানের জন্য জেগে উঠেছেন, কথা বলছেন, সেটা যেন রুদ্ধ করা না হয়। কেন শাহজাহানের পাশে দাঁড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী? এর ভিতর অনেক কিছু ব্যাপার আছে, সত্যিটা যখন বেরবে তখন উনি সামলাতে পারবেন না। তাই শাহজাহানকে গার্ড করছেন। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সন্দেশখালিতে আরএসএসের (RSS) শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে একটা দাঙ্গা হয়েছিল ওখানে। এই প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন, ‘ আরএসএসের পুরো ভারতবর্ষে আছে, পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে আরএসএসের । ১৩ কোটি সদস্য RSS-এর। দেশ তৈরির জন্য পজিটিভ ফোর্স।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কররে লোপাট (পর্ব-৩)
শুধু সন্দেশখালি নয় তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে দেব থেকে মিমির প্রসঙ্গ। দেবকে ফের সমন ইডির। ২১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে তলব করা হয়েছে তাঁকে। এই প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি দেব ওরকম ছেলে নয়। ও খুব ভালো মানুষ। বাকিটা দেবই বলতে পারবে। অন্যদিকে মিমির সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি। পাশাপাশি আসন্ন লোকসভার সুর বেঁধে দিলেন মিঠুন। আগামী ১ মার্চ থেকে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: সাংসদ খাতের হিসেব দিয়ে পোস্ট মিমির
উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে গিয়ে বারবারই বাধা পাচ্ছে বিজেপি প্রতিনিধিদল। শুক্রবারও জে পি নাড্ডার (J P Nadda) তৈরি টিম বিজেপির ছয় সদস্যের দলকে রামপুরে আটকাল পুলিশ। রামপুরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় বিজেপির প্রতিনিধি দলকে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেত্রীদের বচসা শুরু হয়ে যায়। এরপরই রামপুরের রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। বিজেপির দাবি, আমরা কোনও অশান্তি চাই না। পাঁচজন যেতে চাই সন্দেশখালিতে। আমরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা শুনব। কিন্তু পুলিশ আমাদের বাধা দিচ্ছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের যেতে দেবে আমরা রাস্তাতে বসে থাকব। বিজেপির সংসদীয় দলের সঙ্গে রয়েছে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও।
অন্য খবর দেখুন