কলকাতা : গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে নয়া মোড়। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মৃত দুই ব্যক্তির মোবাইল ফোন। এই খুনের কিনারা করতে তৎপর লাল বাজার। তবে, মোবাইল ফোন খুঁজে না পাওয়ার কারণে আরও জট বাঁধছে রহস্য।
এই ধরণের ঘটনায় সাধারণত মোবাইল ফোনের কল লগ ঘেঁটে, মোবাইল ট্রেস করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেই তথ্যের মাধ্যমেই বোঝা যায় মৃত ব্যক্তি কাদের সঙ্গে কথা বলেছে। অনেক সময় ফোনের লোকেশন দেখে বোঝা যায় কোথায় কোথায় গিয়েছেন।
এক্ষেত্রে মোবাইল ফোন না খুঁজে পাওয়ার কারণে এই তথ্য গুলি গোয়েন্দাদের পক্ষে জানা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা বিভাগ ওই দুই ব্যক্তির ফোনের খোঁজ করতে শুরু করেছে।
রবিবার রাতে গড়িয়াহাট থানার কাকুলিয়া রোডের একটি বাড়িতে সুবীর চাকী (৬১) ও তাঁর গাড়ির চালক রবিন মণ্ডল (৬৫) এর দেহ উদ্ধার হয়। এর পরেই তদন্তে নামে লাল বাজার।
আরও পড়ুন – পুজোর পর করোনা বৃ্দ্ধি শহরে, ছুটি বাতিল কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের
জানা গিয়েছে, ওই জমিও বাড়ির মালিক ছিলেন সুবীর চাকী। তিনি নিউ টাউনে থাকতেন। তবে, কাকুলিয়া রোডের এই বাড়িটি বিক্রি পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। দাম ধার্য করেছিলেন মোটা টাকা।
ওই বাড়ি বিক্রির কারণে বহু ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগও করেন তিনি। ফলে বিভিন্ন লোকের আনাগোনা ছিল সেখানে। রবিবার সাড়ে ৫টা নাগাদ এক ক্রেতাকে তাঁর সম্পত্তি দেখানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সঙ্গে ছিল গাড়ির চালক রবিন মণ্ডল।
আরও পড়ুন – কাটছে না অচলাবস্থা, কাজে যোগ দিলেন না আর জি করের অধিকাংশ জুনিয়র ডাক্তার
এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। তাঁকে ফোনেও না পেয়ে অবশেষে স্থানীয় পুলিশকে বিষয়টি জানান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ তদন্তে নেমে গড়িয়াহাট থানার কাকুলিয়া রোডের ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে সুবীর চাকী ও তাঁর চালকের মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে সম্পত্তি নিয়ে আর্থিক গোলমালের জেরেই খুন করা হয়েছে।
তদন্তে নেমেছে লাল বাজার। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। কথা বলা হচ্ছে স্থানীয়দের সঙ্গে। খোঁজ চালানো হচ্ছে দুই ব্যক্তির মোবাইলের।