সামনে উৎসবের মরশুম। আর তার মধ্যে ডলারের তুলনায় টাকার দামে রেকর্ড পতন নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে দেশের আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মনে করেন না এজন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ আছে। শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ডলারের তুলনায় একমাত্র টাকা অন্যান্য দেশের মুদ্রার থেকে অনেক বেশি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। তাঁর দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আর কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক গোটা পরিস্থিতির উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নজর রাখছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পরামর্শ, সংবাদ মাধ্যমের উচিত, বিশ্বে সাম্প্রতিক মন্দাজনিত পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের মুদ্রা ডলারের তুলনায় কি রকম উত্থান-পতন হয়েছে তা খতিয়ে দেখা। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের আবহে বিশ্ব-রাজনীতিতে যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে তার জেরে ওই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর আর্থিক স্থিতিশীলতা না থাকায় উন্নত দেশগুলি এক অস্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দাম বেড়েছে পন্যের। আর তার জেরে মার্কিন ফেডারেল ব্যাঙ্ক ডলারের দম বাড়াত বাধ্য হচ্ছে।
সোমবার সপ্তাহের শুরুতে ফের টাকার দামে রেকর্ড পতন। ডলার প্রতি টাকার দাম কমে হল ৮১ টাকা ৪৭ পয়সা, যা এখনও পর্যন্ত সর্বনিম্ন। গত শুক্রবার ডলারের তুলনায় টাকার দাম ছিল ৮০ টাকা ৯৯ পয়সা। কিন্তু সোমবার তা আরও কমে গেল। অবশ্য সাম্প্রতিক কালের সব থেকে বেশি ধাক্কাটি লাগে বৃহস্পতিবার। ওইদিন ডলারের তুলনায় ৮৩ পয়সা দাম কমে যায় টাকার। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পশ্চিমী দেশগুলির মত এশিয়ার উন্নত দেশগুলির অর্থনৈতিক অবস্থাও ভাল নয়। ডলারের তুলনায় চিন আর জাপানের মুদ্রাতেও পতন হচ্ছে। যথারীতি তার প্রভাব পড়ছে ভারতেও। অবশ্য কেন্দ্রের দাবি, পরিস্থিতির মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই অকারণ উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।