কান্নুর: চলন্ত ট্রেনে (Train) সহযাত্রীর গায়ে পেট্রল (Petrol) ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিল এক ব্যক্তি। ঘটনায় মৃত্যু (Detah) হয়েছে এক শিশু-সহ ৩ জনের। আহত (Injured) হয়েছেন আরও ৮ জন। তাঁদের কোঝিকোড মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। রবিবার ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে কেরলের (Kerala) এলাথুর রেলস্টেশন (Elathur Railway Station) এলাকায়।
রবিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আলাপ্পুঝা-কুন্নুর এক্সিকিউটিভ এক্সপ্রেস (Alappuzha-Kannur Executive Express) ট্রেনটি কোঝিকোড শহর পেরিয়ে কোরাপুঝা রেল সেতুর (Korapuzha Railway Bridge) উপর দিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক ওই সময় ট্রেনের কামরায় উঠে এক ব্যক্তি সহযাত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন ধরে উঠতেই অভিযুক্ত ব্যক্তি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। চলন্ত ট্রেনের মধ্যে আগুন দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাকি যাত্রীদের মধ্যে। শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। ট্রেনের অন্য যাত্রীরা চেন টেনে ট্রেন থামান। অগ্নিদগ্ধ যাত্রীদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর ট্রেন কুন্নুর স্টেশনে পৌঁছলে দুই যাত্রীর খোঁজ মিলছে না বলে জানান সহযাত্রীরা। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে এই নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:India & US | Combat Exercise | এমাসেই ভারত-মার্কিন বিমান যুদ্ধাভ্যাস, তালিকায় কলাইকুন্ডার বিমানঘাঁটি
সহযাত্রীদের থেকে অভিযোগ পেয়েই নিখোঁজদের পেতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে কেরল পুলিশ। কয়েক ঘণ্টা পর এলাথুর রেল স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধার থেকে তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক জন মধ্যবসয়ি ব্যক্তি, এক জন মহিলা ও এক বছরের এক শিশু। তদন্তকারীদের অনুমান, গায়ে আগুন লেগে যাওয়ার পর বাঁচার জন্য চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন এই তিনজন। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তবে কী কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তি ট্রেনের কামরায় উঠে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে এই তিনজনকে হত্যা করল, তা স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে এই ঘটনায় রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে ফের উঠল প্রশ্ন। পেট্রোলের মতো সহজ দাহ্য পদার্থ নিয়ে কী ভাবে একজন ট্রেনের কামরায় উঠলেন? ঘটনার সময় এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরায় কেন ছিলেন না কোনও আরপিএফ জওয়ান? ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেল।