নামখানা: আগামী ৮ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলার (GangaSagar Mela 2024) প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে একাধিক প্রশাসনিক বৈঠক করা হয়েছে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার হেলিকপ্টারে করে গঙ্গাসাগরে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী। আগে থেকেই গঙ্গাসাগর মেলার জন্য স্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করে রাখা আছে। সেই স্থায়ী হেলিপ্যাডের কী অবস্থা, তা খতিয়ে দেখেছেন জেলাশাসক। কড়া প্রশাসনিক নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির (Kapil Muni Ashram Ganga Sagar Mela ) চত্বর। মেলার আগে প্রতি বছরই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গঙ্গাসাগরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্ধারিত সুচি অনুযায়ী ৮ জানুয়ারি কপিল মুনির মন্দিরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কথা বলবেন মন্দিরের মহন্তদের সঙ্গে। মন্দিরে পুজোও দেবেন তিনি।
অন্যদিকে আগামী ৯ জানুয়ারি জয়নগরে একটি সরকারি কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯ জানুয়ারির দিন গঙ্গাসাগর থেকে জয়নগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। মেলা শুরু হতে আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি, তাই সাগরে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সেই মহাযজ্ঞে যাতে পুণ্যার্থীদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে সবরকম উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সাজিয়ে তোলা হয়েছে কচুবেড়িয়া এবং লট নাম্বার ৮ জেটিঘাট।
আরও পড়ুন: জমি মামলার শেষ শুনানিতেও অমর্ত্যকে বিঁধল বিশ্বভারতী
মেলা প্রাঙ্গণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে এবারের গঙ্গাসাগর মেলাতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দমকল বিভাগ। প্রশাসন সূত্রের খবর, মেলার দিন গুলো সাগরে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন ১৫-১৬টি অতিরিক্ত বাস চলবে। সবমিলিয়ে ২ হাজার ২৫০টি সরকারি বাস যাতায়াত করবে। চলবে অতিরিক্ত ৬৬টি ট্রেন। থাকছে অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থাও। ২২টি জেটিকে মজবুত করা হচ্ছে। শুধু যাতায়াতের ব্যবস্থা নয়, মেলার নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত সিসিটিভির ব্যবস্থা থাকছে। ১ হাজার ১৫০টি সিসিটিভি থাকবে মেলা প্রাঙ্গনে। থাকছে জিপিএস ও স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা। শুধু যন্ত্রের মাধ্যমে নজরদারি নয়, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেলায় থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ। ২ হাজার ৪০০ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী। প্রচুর সিভিক ভলান্টিয়ারও।
মেলার প্রাঙ্গণ, লট নাম্বার ৮, নামখানা পয়েন্ট, কচুবেড়িয়া পয়েন্ট এবং কুলপির বাফার জোন মিলে সর্বমোট ১১টি অস্থায়ী দমকলকেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণসহ মেলার প্রতিটি পয়েন্ট জুড়ে থাকছে ৫০টি দমকলের ইঞ্জিন। মেলার প্রতিটি পয়েন্ট মিলে সর্বমোট 70 টি বুলেট থাকছে। গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ সহ মেলার প্রতিটি পয়েন্ট মিলে থাকবে প্রায় ৩০০ জন দমকল কর্মী। স্বাস্থ্য জেলা সূত্রের খবর, মেলা প্রাঙ্গণ, কচুবেড়িয়া ঘাট, চিমাগুড়ি, নামখানার নারায়ণপুর এবং লট-৮ ঘাটে পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতালগুলি থাকছে। অস্থায়ী হাসপাতালগুলিতে (Temporary Hospitals) সব মিলিয়ে ১০০ শয্যার ব্যবস্থা থাকছে। এ ছাড়া, জোকা থেকে সাগর পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ২৬০টি শয্যা পুণ্যার্থীদের জন্য রাখা হচ্ছে।
আরও অন্য় খবর দেখুন