বীরভূম: সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে (Sikkim Disaster) মৃত জওয়ানের (Jawan) কফিনবন্দি দেহ ফিরল বাড়িতে। গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল শহিদ জওয়ান গোপাল মাড্ডিকে। গোটা ঘটনায় বাকরুদ্ধ পরিবার। খুব স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া গোটা আদিবাসী গ্রাম জুড়ে। এদিকে, সমবেদনা জানাতে নিহত জওয়ানের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি।
বীরভূমের ময়ূরেশ্বর দু’নম্বর ব্লকের নান্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা গোপাল মাড্ডি। ২০১৪ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়িতে সেনাবাহিনীর মেডিকেল বিভাগে কর্মরত ছিলেন গোপাল। মাস খানিক আগে সিকিমের হরভজন সিং মন্দিরে ডিউটিতে গেছিলেন তিনি। সেই মন্দির থেকে ডিউটি সেরে বিন্নাগুড়ি ছাউনিতে ফেরার পথে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়েন বীরভূমের সেনা জওয়ান গোপাল মাড্ডি।
আরও পড়ুন: মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পর মদন মিত্রের বাড়িতে সিবিআই
৪ অক্টোবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গোপালের নিখোঁজের খবর জানানো হয় পরিবারকে। ৫ অক্টোবর তাঁর মৃত্যুর খবর আসে ময়ূরেশ্বরে। কর্মরত অবস্থায় বীরভূমের সেনা জাওয়ান গোপালের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো এদিন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ পৌঁছে যান নিহত সেনা জওয়ানের বাড়িতে। গোপালের বাবা, মা, সহধর্মিনীর সঙ্গে কথা বলেন। সমবেদনার পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতা তুলে দেওয়া হয় গোপালের পরিবারকে।
সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে (Sikkim Disaster) ৭ জওয়ান-সহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৪০। আরও একটি মেঘভাঙা বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় সিকিম প্রশাসনের তরফে পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছে। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে তৈরি হওয়া জলোচ্ছ্বাসে সিকিমে ১১টি সেতু ভেঙে গেছে। এর পাশাপাশি জলের পাইপলাইন, সেচলাইন এবং চার জেলার ২৭৭টি বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়দের উদ্ধারের জন্য উত্তর সিকিমে এনডিআরএফ এর দলকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দেখুন আরও অন্য খবর: