বোলপুর: শান্তিনিকেতনের আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় আটক পাঁচ যুবক। যদিও ওই পাঁচ যুবক নির্দোষ দাবি করে থানার সামনে ধর্নায় বসে গ্রামবাসীরা।
শনিবার শান্তিনিকেতনের নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিস দু’জনকে আটক করে। এরপর রবিবার আরও তিন জনকে আটক করা হয়। সূত্রের খবর, যে এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছিল ওই এলাকার পাঁচটি আলাদা আলাদা গ্রাম থেকে ওই পাঁচ যুবককে আটক করে পুলিস। এরপরেই থানার সামনে ধর্নায় বসে গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, দোষীদের শাস্তি হোক। তারা সাহায্য করবে। যাদের আটক করা হয়েছে তারা সকলেই নির্দোষ। এরপরেই পুলিস ওই পাঁচ যুবককে ছেড়ে দেয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস।
বোলপুরের শান্তিনিকেতনে প্রেমিকের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের একটি অভিযোগ ওঠে। গ্রামের মেলা থেকে নদীর পাড়ে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ৫ জন। অভিযুক্তরা অন্য জেলার। প্রেমিকের বয়ান অনুযায়ী অভিযুক্তদের স্কেচ তৈরি করাচ্ছে পুলিস৷
অন্যদিকে, বোলপুরের সিয়ানমুলুক এলাকায় এক আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগের পর এবার শান্তিনিকেতন থানা এলাকায় আদিবাসী নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন আইজি ভরতলাল মিনা। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতন থানার আদিত্যপুরে চড়ক মেলা ছিল৷ সেই মেলায় প্রেমিকের কাছ থেকে ছিনিয়ে এক নাবালিকাকে অন্ধকারে তুলে নিয়ে যায় পাঁচ যুবক। এরপরেই ধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে৷
আরও পড়ুন- Manoj Malviya Visits Jangle Mahal: কেমন আছে জঙ্গলমহল? ঘুরে দেখলেন রাজ্য ডিজি
এদিন পরিবারের লোকজন শান্তিনিকেতন থানায় খবর দেন৷ খবর পেয়েই তদন্তে গ্রামে যান অতিরিক্ত জেলা পুলিস সুপার ও বোলপুরের এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিস৷ পরে গ্রামে যান বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। নির্যাতিতা নাবালিকা চিকিৎসার জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ও বীরভূম জেলা পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। এমনকি তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছে রাজ্য বিজেপির একটি বিশেষ প্রতিনিধি দলও।