টলিউড, বলিউডের সঙ্গে দক্ষিণী ছবিতে কাজ একের পর এক করছেন অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত। প্রায় তিন বছর পর যিশুর যিশুর বাংলা ছবি ‘বাবা বেবি ও’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি। অভিনেতা নিজেই মনে করে জানালেন তাঁর শেষ মুক্তি প্রাপ্ত বাংলা ছবি ছিলো অপর্না সেনের “ঘরে বাইরে আজ”। তাই বহুদিন পর আবার বাংলা ছবি মুক্তিতে বেশ খুশি তিনি।
পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘বাবা বেবি ও’ তে একজন সিঙ্গেল ফাদার এর চরিত্রে দেখা যাবে যিশুকে। যমজ সন্তানকে একা হাতে মানুষ করতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন মেঘ রূপে যিশু। তবে ব্যক্তিগত জীবনে দুই মেয়ে সারা ও জারাকে মানুষ করতে গিয়ে নানা ধরণের অভিজ্ঞতা হয়েছে, তাঁর মতে বাবা হওয়া একটা লার্নিং প্রসেস। বাচ্চার বেড়ে ওঠার সঙ্গে বাবাও অভিজ্ঞ হয়ে ওঠে। তিনি আরও জানান, “এই ছবি করতে গিয়ে অবশ্যই আমার এই অভিজ্ঞতা কাজে এসেছে। দারুণ মজা পেয়েছি শ্যুটিং করতে। পুচকে দুজন এতো ক্যামেরা ফ্রেন্ডলি ছিলো যে শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই ওদের দুজনের সঙ্গে খেলা করেছি।”
বাংলার পাশাপাশি হিন্দি ও তেলগু ছবিতেও কাজ করছেন তিনি পরপর। তাই অনেক সময় দেখা যায় সময়ের অভাবে অনেক চরিত্র ছেড়ে দিতে হয়েছে, এতে অবশ্যই মন দুঃখ হয় তাঁর। তিনি জানান, “তখন মনে হয় চব্বিশ ঘণ্টার বেশি যদি সময় থাকতো খুব ভালো হতো, তবে এমনটাতো হওয়ার নয়।”
বিভিন্ন মাধ্যম ও বিভিন্ন ভাষায় কাজ করছেন যিশু। তাঁর কাছে প্রশ্ন করা হয়, সিনেমা সম্পর্কে দর্শকদের ভাবনায় কিছু পরিবর্তন হয়েছে? এর উত্তরে তিনি বলেন, “অবশ্যই পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর দর্শকরা নায়ক , নায়িকা কেন্দ্রীক ছবি পছন্দ করেন। তারা এখন বিষয় ভিত্তিক ছবি পছন্দ করেন, অভিনেতা কে সেটা পড়ে ভাবেন। কোভিডের করতে দর্শক ওটিটিতে মোজেছেন , এটা হওয়ারই ছিলো , তবে এই অতিমারিতে একটু আগে এসে গেছে।” তিনি আরও জানান, এখন আর কেউ প্রাদেশিক ছবির অভিনেতা নয়,বরং প্রত্যেক অভিনেতা ভারতীয় অভিনেতা।
‘বাবা বেবি ও ‘ ছবির ট্রেলার এর প্রশোংসা করেছেন অভিনেতা চিরঞ্জীবি, তাঁর সঙ্গেই আগামী ছবি মুক্তি পাবে ‘আচার্য ‘। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” প্রথম যখন জানতে পারি চিরঞ্জীবির সঙ্গে কাজ করছি তখনই উত্তেজিত ছিলাম। তবে ও নিজেই এগিয়ে এসে আমাকে বললেন আমার ব্যোমকেশ তিনি দেখেছেন, নিজেই আমার থেকে টুইটার হ্যান্ডেল নিয়ে শেয়ার করলেন। বিদ্যা বালন ও শেয়ার করেছন”।
নেগেটিভ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সাফ জানান , এসব তিনি মানেন না যার যোগ্যতা ও ভাগ্য না থাকলে সে নিজের জায়গা করতে পারবেন না। যারা সফলতা পান না তারাই এই ধরনের অভিযোগ করে থাকেন। তাঁর মতে দক্ষিণের ছবিতে ঠিক মতো কাজ করলে অনেক বেশি সম্মান পাওয়া যায়।
অন্যদিকে তিনি জানান বাংলায় এতো কম বাজেটের কাজ হয় সেটা মুম্বাই ও দক্ষিণের প্রযোজক পরিচালক শুনলে অবাক হয়ে যান। বাংলাতেও অনেক সম্ভবনা রয়েছে, তবে এখানে যদি সবাই সংঘবদ্ধ ভাবে কাজ করে তাহলেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রি এগোবে। সবশেষে তিনি দর্শকদের তাঁর নতুন এই ছবি হলে গিয়ে দেখার অনুরোধ করেন।