কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মানবজাতি এবং ব্রহ্মাণ্ডের বহু মৌলিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন তিনি। সে সবের উত্তর ব্যাখ্যা করেছেন বৈজ্ঞানিক উপায়ে। নোবেল প্রাপক মার্কিন পদার্থবিদ ফ্রাঙ্ক উইলজেকের মুকুটে আরও একটি পালক। ২০২২ সালের ‘টেমপ্লেটন সম্মান’। তাত্ত্বিক এই পদার্থবিদ তাঁর গবেষণায় ব্যাখ্যা করেছেন প্রকৃতির মধ্যে নিহিত মৌলিক শক্তিগুলিকে। টাকার অংকে ‘টেমপ্লেটন সম্মান’ প্রায় ৭ কোটি ২১ লক্ষের কাছাকাছি।
৭০ বছরের বিজ্ঞানী তাঁর এই সম্মানকে কীভাবে দেখছেন? ‘বিজ্ঞানের অন্তর্নিহিত শক্তিকে আরও উৎসাহ দেবে, উদ্দীপক হিসেবে কাজ করবে এই সম্মান’, বলছেন ফ্রাঙ্ক উইজলেক। বলছেন, এমন সময়ে তিনি এই সম্মান পেলেন, যখন সমাজের একটা অংশ বুদ্ধিহীনতায় ভুগছে। বিজ্ঞানের মূল সুর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
মার্কিন মুলুকও যে এই পরিস্থিতির বাইরে না, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রকৃতির মন বুঝে ফেলা এই বিজ্ঞানী। রাজনৈতিক দলগুলিকেও এর জন্য দায়ী করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘সমাজের এ ধরনের মানসিকতা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
‘আসলে মানবসমাজ এখন শুধুই ইন্টারনেটমুখী’, বলছেন ফ্রাঙ্ক উইজলেক। ‘তাঁরা মনে করেন সম্ভাব্য সমস্ত প্রশ্নের উত্তর রয়েছে ইন্টারনেটে। অথচ ভেবে দেখুন কোয়ান্টাম মেকানিকস্ ছাড়া বিজ্ঞান ছাড়া ইন্টারনেট অচল। প্রযুক্তিবিদরা কত অক্লান্ত পরিশ্রমে এই ইন্টারনেটের ধাঁচা তৈরি করেছেন একবার ভেবে দেখুন’৷ প্রশ্ন করেছেন নোবেলজয়ী পদার্থবিদ।
হিথার টেমপ্লেটন ডিল, জন টেমপ্লেটন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট। তাঁর কাছে পদার্থবিদ ডক্টর উইলজেকের কাজ মানেই প্রকৃতিকে ভিন্ন চোখে দেখার, পাঠ নেওয়ার এক গভীর দর্শন। যে দর্শন পরতে পরতে চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় প্রকৃতির মৌলিক শক্তির অসীম রহস্যকে। প্রকৃতির মৌলিক চার শক্তিকে তাঁর গবেষণায় ব্যাখ্যা করেছিলেন পদার্থবিদ উইলজেক। মৌলিক চার শক্তি কী? এক, শক্তিশালী বল। দুই, দুর্বল বল। তিন, তড়িৎচুম্বকীয় বল। এবং চার অভিকর্ষীয় বল। এই চার শক্তির উপরেই নতুন তত্ত্বের ব্যাখ্যা দিয়ে ২০০৪ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল জয় করেন ডক্টর ফ্রাঙ্ক উইলজেক।