কলকাতা: নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে পৌঁছলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সকাল ১১টায় অভিষেককে তলব করা হয়েছিল। সেই মতো এদিন সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে নিজাম প্যালেসে পৌঁছন তৃণমূল সাংসদ। নিজাম প্যালেসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে থাকবেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী অফিসার ওয়াসিম আক্রম। তাঁর জন্য পাঁচ পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়েছে। তাপস ও কুন্তলের বয়ানেের ভিত্তিতে এই প্রশ্নমালা তৈরি করা হেয়েছে। সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হবে। প্রথম দফায় তাঁর মৌকিক বয়ান নেওয়া হবে। দ্বিতীয় দফায় অভিষেকের লিখিত বয়ান নেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিষেককে যে দিন তলব করল সিবিআই, সে দিন সকাল থেকে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করছে ‘কালীঘাটের কাকু’কে হানা দিয়েছে তাঁর বাড়ি, অফিস-সহ একাধিক জায়গায়।
এদিনই কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক। সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। চিঠিতে অভিষেক জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ১৯ মে নোটিস দিয়ে তাঁকে ২০ মে-তে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। এক দিনেরও কম সময় পাওয়ায় তিনি বিস্মিত। তিনি আরও জানান, বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। ২২ মে অর্থাৎ সোমবার শীর্ষ আদালতে তাঁর মামলার দ্রুত শুনানির আর্জিও জানান অভিষেক।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam | সকাল সকাল ইডির হানা ‘কালীঘাটের কাকু’র বাড়িতে
এদিকে এদিন সকালেই কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি (ED)। একাধিক দলে ভাগ হয়ে বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি-সহ বহু জায়গায় তল্লাশিতে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করা হয়েছে তাঁর কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ির সামনে। সম্প্রতি সিবিআই (CBI) এসেও তল্লাশি চালিয়েছিল তাঁর ফ্ল্যাটে। সে সময় তাঁর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল কয়েক লক্ষ নগদ টাকা। তিনি অবশ্য দাবি করেন, বোন হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসার বিল মেটানোর জন্য ওই অর্থ তুলেছিলেন। একটি অ্যাডমিট কার্ডও পাওয়া গিয়েছিল তাঁর বাড়ি থেকে। তিনি দাবি করেন, সেটা তাঁর শ্যালিকার পুত্রের পুরসভায় চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রদত্ত অ্যাডমিট কার্ড। এ ছাড়া তাঁর একটি ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই।