কৃষ্ণনগর: তৃণমূলের (TMC) বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে তেহট্টে (Tehatta) পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) টিকিট বিক্রির বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন খোদ বিধায়ক (MLA) তাপস সাহা (Tapas Saha)। বিধায়কের অভিযোগ ঘিরে শাসকদলের কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার নেতাদের মধ্যে আলোড়ন শুরু হয়েছে। বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে এ কথা বলা কতটা শোভনীয়, দলের অন্দরেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রসঙ্গত, ভোটের আগেও বিধায়ক একই অভিযোগ করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার তেহট্টের বিধায়ক বলেন, আমি ব্লক সভাপতি এবং অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করে যে তালিকা দিয়েছিলাম, তা বাতিল করে নতুন তালিকা তৈরি করা হল। যাঁরা টিকিট পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কতজন জিতেছেন, তা জানার অধিকার আছে আমার। তাঁর অভিযোগ, অবস্থা এমনই যে, তেহট্ট ১ ব্লকে একজনও তৃণমূলের প্রধান নেই। বিধায়ক বলেন, আমার যদি দোষ হয়, তাহলে আমাকে খুন করা হোক। আর অন্য কেউ দোষী হলে তাদের খুঁজে বার করে শাস্তি দেওয়া হোক। আমি প্রায় ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। এই প্রথম এই ধরনের কেলেঙ্কারি দেখলাম। আমিই যদি কিছু না জানতে পারি, তাহলে আর বিধায়ক থেকে লাভ কী।
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়র শরীর ভালো আছে, জানালেন কেন্দ্রীয় চিকিৎসক
এই বিষয়ে উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, টিকিট বিক্রি হয়েছে কি না, তা বলতে পারব না। তবে কিছু ভুল বোঝাবুঝি, কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি হয়েছে। তাপস আবেগের বশে কিছু কথা বলেছে। আশা করব, নিজেরা কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেবে সবাই। নদীয়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, টিকিট বিলি হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে। প্রার্থী ঠিক করার দায়িত্ব ছিল বিধায়কের। তা ছাড়া তেহট্ট ১ নম্বর ব্লক দেখার কথা ছিল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। তাই আমরা ওই ব্লক নিয়ে মাথা ঘামাইনি। আর বিধায়ক যদি সাপ, ব্যাঙদের না জেতাতে পারেন, সেটা তাঁর ব্যর্থতা।
আরও খবর দেখুন