কলকাতা: হকার নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যে ২০১৪ সালে আইন তৈরি হয়েছিল। সেই আইন আজও কার্যকর হয়নি। গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে বেআইনি হকার (Hawker) সংক্রান্ত মামলায় এই তথ্য এদিন সামনে এল। এই হোটেলের সামনের ফুটপাথ হকারদের দখলে। হুকিং করে তারা আলো জ্বালাচ্ছে। এই যাবতীয় অনিয়মের প্রতিকার চায় হোটেল কর্তৃপক্ষ। সিইএসসি জানায়, ওই হোটেলের সামনে তারা দুটি ‘ব্লক মিটার’ লাগিয়ে দিয়েছে হকারদের জন্য। সেখান থেকে সাব মিটারের মাধ্যমে হকাররা আলোর সংযোগ নেয়। কিন্তু বেআইনি সংযোগ কেউ নেয় কিনা, সেই তথ্য কেন নেই? প্রশ্ন তোলে আদালত। সিইএসসি সমীক্ষা করে তা জানাবে বলে জানিয়েছে।
ধর্মতলায় গ্র্যান্ড হোটেলের (Grand Hotel Kolkata) সামনে ফুটপাথ দখল করে নিয়েছে হকাররা। অবস্থা এমনই গেট নজরে পড়ে না হোটেলের। হকারের এই বাড়বাড়ন্তের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল হোটেল কর্তৃপক্ষ। বেআইনি দখল এবং হকারদের সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ছয় সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের সরাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। রেড রোড, উড স্ট্রিটের একাংশ, পার্ক স্ট্রিটের কিছুটা অংশ সহ শহরের অনেক এলাকাতেই হকার বসে না। মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে এই তালিকা তুলে দেওয়া হবে হাইকোর্টের কাছে। যতটা আয়তন তার তিনভাগের একভাগ নিয়েই বসতে পারবেন হকাররা। এর জন্য মাপা হবে ফুটপাত। বুধবার টাউন ভেন্ডিং কমিটির বৈঠক শেষে এমনটাই জানালেন টাউন ভেন্ডিং কমিটির কো চেয়ারম্যান বিধায়ক দেবাশিস কুমার।
আরও পড়ুন: ঐতিহ্যের শহরের খানাখন্দে ভরা রাস্তা
আইন অনুযায়ী ফুটপাতের কিছুটা অংশে হকাররা ব্যবসা করতে পারে। কারা ফুটপাতে ব্যবসা করতে পারবে, তাও আইনে বলা আছে। আইনি শর্ত সমূহ পালন করা হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব টাউন ভেন্ডিং কমিটির। কিন্তু, ওই আইন আজও কার্যকর হয়নি। এমনকি আইন মত কোনও প্রকল্পও তৈরি হয়নি বলে শুনানিতে জানা যায়। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, সেক্ষেত্রে সেখানে থাকা সব হকারই বেআইনিভাবে ব্যবসা করছে। কারণ, তাদের লাইসেন্স নেই।
উল্লেখ্য, সেখানকার কিছু হকার এদিন ওই মামলায় যুক্ত হয়ে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। যার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। কলকাতা পৌরসভাকে আদালতের নির্দেশ, টাউন ভেন্ডিং কমিটি গ্রান্ডের সামনে ভেন্ডিং জোন নির্দিষ্ট করেছে কিনা, তা ২৮ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে হবে।
আরও অন্য খবর দেখুন