আড়াই দশক পর শরদ পাওয়ারের হাতছাড়া হল এনসিপি। শরদের ভাইপো অজিত পাওয়ারের গোষ্ঠীকেই এনসিপি নাম ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই গোষ্ঠীর হাতেই থাকছে নির্বাচনী প্রতীক। বুধবার প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ারের গোষ্ঠী নতুন এবং প্রতীক হিসেবে তিনটি করে পছন্দের কথা জানিয়েছে কমিশনকে।
শরদ পাওয়ার কংগ্রেস, মি রাষ্ট্রবাদী এবং শরদ স্বাভিমানী এই তিনটি নামের মধ্যে একটি চেয়েছে শরদ গোষ্ঠী। নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে কাপ প্লেট, সূর্যমুখী ফুল এবং উদীয়মান সূর্য, এই তিনটির মধ্যে একটি চেয়েছে তারা। মঙ্গলবার কমিশন অজিত পাওয়ারের গোষ্ঠীকে আসল এনসিপি বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই শরদ পাওয়ার হতাশ।
১৯৯৯ সালে সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে আপত্তি তোলেন শরদ। কংগ্রেস ছেড়ে এনসিপি নামে নতুন দল গড়েন তিনি। তারপর থেকে এই সেদিন পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের স্ট্রংম্যান শরদই ছিলেন এনসিপির শেষ কথা।গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উদ্ধব ঠাকরের আবেদন অগ্রাহ্য করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীকে দলের নাম এবং প্রতীক ব্যবহারের অধিকার দেয় কমিশন। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত বিজেপির সহযোগী। গত বছরের জুলাই মাসে মহারাষ্ট্রে ফের রাজনীতির পট পরিবর্তন হয়। অজিত সহ নয়জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়ক মন্ত্রিত্ব পান। এনসিপিতে অজিতের দাপট বাড়ে। কোণঠাসা হয়ে পড়েন শরদ। তার মধ্যেই মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন অজিত গোষ্ঠীকেই আসল এনসিপি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় শরদ বিরাট ধাক্কা খেলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।