ওয়াশিংটন: প্যালেস্তিনীয় (Palestine) জঙ্গি সংগঠন হামাস (Hamas) বাহিনী শিশুদের মুণ্ডচ্ছেদ করেছে। অভিযোগ তুললেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden)। জঙ্গিরা শিশুদের ধরে মাথা কাটছে, এমন বিশ্বাসযোগ্য ছবি তিনি নিজে দেখেছেন বলে দাবি বাইডেনের। গাজার (Gaza) নিকটবর্তী একটি এলাকায় হামাস বাহিনী নরমেধ যজ্ঞ চালিয়েছে বলে ইজরায়েলি (Israel) দাবিতে সিলমোহর দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউসে (White House) মার্কিন ইহুদি নেতাদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে বাইডেন বলেন, কোথায় কী ঘটছে তার উপর নজর রাখা আমেরিকার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে আমি এটা করে আসছি। কিন্তু, এরকম কিছু দেখতে হবে, আমি ভাবতেও পারিনি। অতি বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া ছবিতে দেখেছি, জঙ্গিরা শিশুদের মুণ্ডচ্ছেদ করছে।
আরও পড়ুন: ইজরায়েল থেকে ঘরে ফিরলেন বনগাঁর গবেষক-ছাত্র
হামাসের হামলাকে পুরোদস্তুর শয়তানের কাজ বলেও ব্যাখ্যা করেন তিনি। হোয়াইট হাউস থেকে প্রচারিত একটি টিভি সম্প্রচারে বাইডেন বলেন, জীবনে এমন কিছু সময় আসে, যখন সত্যিই পৃথিবীর বুকে শয়তান লাগামছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়ায়। এটাও তেমনই পুরোদস্তুর শয়তানের কাজ। পরে হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, আসলে বাইডেন সচক্ষে এমন কোনও ছবি দেখেননি। ইজরায়েল থেকে আসা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বলেছেন।
গত শনিবারের হামাস হামলায় ১৪ জন মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে জানান প্রেসিডেন্ট। হামাস ও ইজরায়েলে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার প্রাণহানি ঘটেছে। বাইডেনের মন্তব্যকে হামাসের তরফে বলা হয়েছে, ইজরায়েলের অপরাধ ঢাকতে চেষ্টা করেছেন তিনি।
ইজরায়েলের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করে দৃঢ়ভাবে বাইডেন বলেছেন, নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার করছে হামাস। বাবা-মাকে খুন করছে। অল্প বয়সি ছেলেমেয়েদের গণহত্যা করছে। শান্তিতে গানবাজনার অনুষ্ঠানে যাওয়া যুবক-যুবতীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। মহিলাদের ধর্ষণ, নির্যাতন করে তাঁদের রাস্তায় ঘোরানো হয়েছে।
একইসঙ্গে ইরানকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে বাইডেন বলেন, এই যুদ্ধে তারা যেন নাক না গলায়। ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্ব থেকে দূরে থাকুন, নয়তো পরিণাম ভোগ করতে হবেই— হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইজরায়েল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গাজায় ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে দূত করে পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ব্লিঙ্কেন সেখানে গিয়ে আমেরিকার নাগরিকসহ অন্য বন্দিদের মুক্তি, ইজরায়েলের প্রতি আমেরিকার সর্বাঙ্গীন সমর্থন এবং পুরোদস্তর যুদ্ধ ঠেকানোর বিষয়ে মধ্যস্থতা করবেন।
দেখুন অন্য খবর