কলকাতা: বিশ্বের মধ্যে এমন কত জায়গাই না আছে, যা আমাদের কাছে একেবারেই কিন্তু অজানা। তাই না? আর সেই সব জায়গাতেই লুকিয়ে আছে অজানা যত সব রহস্য। অনেকেই আছেন জলপ্রপাত ভালোবাসেন। জলস্রোত অথবা ঝর্না প্রবাহ দেখেছি আমরা অনেকেই। কিন্তু রক্তপ্রবাহ দেখেছেন কখনও? হ্যাঁ, রক্তপ্রবাহ! দেখেছেন? আচ্ছা দেখা নাও পেতে পারেন, এ নিয়ে চিন্তার অবকাশ না হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অ্যান্টার্কটিকার মহাদেশে বরফের মধ্যে এমনি একটি রক্তপ্রবাহ রয়েছে যা থেকে অবিরত রক্তবর্নের তরল প্রদার্থ বের হচ্ছে। দেখে মনে হবে যেন রক্তের ঝর্ণা বয়েই চলেছে।
অ্যান্টার্কটিকার রক্তাক্ত জলপ্রপাতের কথা অনেকেই কিন্তু জানেন না। আবার অনেকেই আছেন, যাঁরা হয়তো এর আগে এই জায়গা বা ঘটনার কথা হয়তো শুনেছেন। অ্যান্টার্কটিকার ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালিতে বরফের প্রলেপ ভেদ করে দিনের পর দিন অনবরত বয়ে চলেছে রক্তলাল এক ঝর্ণাধারা। যা দেখলে আপনি প্রথমে শিউরে উঠতে বাধ্য। ইউক্রেনের মিনিস্ট্রি অফ এডুকেশন অ্যান্ড সায়েন্সের তরফে জানানো হয়েছে, এটা একটা প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য৷ একে বলা হয় ‘রেড স্নো’৷ আন্টার্টিকার উত্তরতম দ্বীপ এখন এই ভৌতিক লাল বরফেই ঢেকেছে৷
আরও পড়ুন: করোনার সরকারি বিধিনিষেধ উঠে গেল, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
বিজ্ঞানীদের মতো, এই লাল রঙই বলে দেয় যে এই হিমবাহের নীচে জীবনের বিকাশ ঘটছে। এই হিমবাহের রক্ত লবণাক্ত, যা একটি অতি প্রাচীন বাস্তুতন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞান যত এগিয়েছে, সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে এবং তারপর বিজ্ঞানীরা এর কাছাকাছি এসেছেন গবেষণার জন্য। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, এর স্বাদ রক্তের মতোই নোনতা। এই জায়গাটিতে মানে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া।
এছাড়াও এই জায়গাটি বিরল সাবগ্লাসিয়াল ইকোসিস্টেমের ব্যাকটেরিয়ার আবাসস্থল। এই ব্যাকটেরিয়া এমন জায়গায় বেঁচে থাকে, যেখানে অক্সিজেনের কোনও নামনিশান নেই। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, রক্তবর্ণের জলপ্রপাতে লোহার পাশাপাশি সিলিকন, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম ও সোডিয়ামের কণা রয়েছে।