বারুইপুর: অমরনাথ যাত্রায় দুর্যোগ এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বারুইপুরের গবেষিকা তরুণী বর্ষা মুহূরীর৷ ১৬ জুলাই কলকাতায় ফেরার কথা ছিল তাঁর৷ কিন্তু সোমবার সকালে বারুইপুর পৌঁছয় বর্ষার নিথর দেহ৷ আজই তাঁর শেষকৃত্য হওয়ার কথা৷ এদিন বিমানবন্দরে নামার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন বর্ষার মা নিবেদিতা৷ মেয়ের সঙ্গে তিনিও গিয়েছিলেন অমরনাথে৷ শুক্রবার আকস্মিক পাহাড়ি বৃষ্টি থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়েই মৃত্যু হয় বর্ষার৷
সংবাদমাধ্যমেই বর্ষার মৃত্যুর খবর পায় বারুইপুরের চক্রবর্তী পাড়ার বাসিন্দারা৷ তাঁরা জানিয়েছেন, পড়াশুনায় খুবই দুর্দান্ত ছিল বর্ষা৷ সবার সঙ্গে কথা বলত৷ হাসিখুশি স্বভাবের মেয়েটি আর নেই তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না পাড়া প্রতিবেশীরা৷ বারুইপুরের আরও দুটি পরিবারের সঙ্গে বর্ষা, তাঁর মা নিবেদিতা ও মামা সুব্রত ১ জুলাই কাশ্মীর রওনা দেন৷ সাতজনের ওই দলটির প্রথমে অমরনাথ যায়৷ তারপর সেখান থেকে কাশ্মীর নেমে আসার কথা ছিল৷ গত ৮ জুলাই অমরনাথ দর্শন হয়েছিল বর্ষার৷ কিন্তু গুহা থেকে নীচে নেমে আসার সময় পাহাড়ি বৃষ্টিতে নেমে আসে বিপর্যয়৷ কয়েকঘণ্টা পরই খুঁজে পাওয়া যায় বর্ষার দেহ৷
জানা গিয়েছে, বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা বারুইপুর পশ্চিমের বিধামসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিমান বন্দোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় সরকারি উদ্যোগে তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়৷ রবিবার দুপুরে আর্মি হাসপাতালে বর্ষার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। তারপর সেখান থেকে রাতের বিমানে প্রায় দেড়টা নাগাদ কলকাতায় নিয়ে আসা হয়৷ বারুইপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাসের নেতৃত্বে পুরসভার চার পুরপিতা বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন৷