সিউড়ি: রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Indian President Draupadi Murmu)। ২৮ মার্চ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) সমাবর্তন (Convocation) অনুষ্ঠান। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল (West Bengal Governor) সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানাল বিশ্বভারতী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটেও (University Website) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি (Notification) প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২২ শিক্ষাবর্ষের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে ২৮ মার্চ। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অধ্যাপিকা মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় (Mahua Banerjee) জানান, সমাবর্তনে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। তবে বিশ্বভারতীর প্রথা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান দেশিকোত্তম (Desikottam) পুরস্কার এবার কোনও ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে না। অবন, গগন ও রথীন্দ্র পুরস্কারও দেওয়া হবে না এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে (Ceremony) ঘিরে আবার নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিশ্বভারতীর প্রথা অনুযায়ী, দেশিকোত্তম পুরস্কার দেওয়া হয় সমাজের কৃতী মানুষদের। অবন-গগন পুরস্কার দেওয়া হয় শিল্প সাহিত্যের ক্ষেত্রে। রথীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয় সমাজকল্যাণের উপর। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কেন প্রথা ভাঙছে বিশ্বভারতী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে? এটা এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: Talk on Facts | চলছে বৃষ্টি, বসন্ত ফিরবে কবে?
সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনায় একটানা বিতর্কের মধ্যে রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) পৌষমেলা (Poush Fair) বন্ধ হয়েছে। অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) সঙ্গে জমি বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। বিশ্বভারতীয় উপাচার্যের (Vice Chancellor) সঙ্গে ছাত্রদের একাংশের মতবিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। উপাচার্যের কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, আশ্রমিকদের একটা বড় অংশ। তাঁদের বক্তব্য, উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তীর খামখেয়ালিপনার জন্য বিশ্বভারতীর সুনাম লাটে উঠতে বসেছে। তবু কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। সম্প্রতি বক্তৃতামালার আয়োজন ঘিরেও বিতর্ক সামনে এসেছে। বলিউডের গেরুয়াপন্থী অভিনেতা অনুপম খেরকে ওই বক্তৃতামালায় আমন্ত্রণ জানানোয় বিশ্বভারতীতে তুমুল বিতর্ক হয়। অভিযোগ, সমাবর্তন থেকে শুরু করে পৌষমেলা, সাপ্তাহিক উপাসনা সব ক্ষেত্রেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত অপরিণত মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। ফলে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ধূলোয় মিশতে চলেছে।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম জড়িয়ে আছে। উচ্চশিক্ষায় দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে উচ্চারিত হয় বিশ্বভারতীর নাম। কিন্তু সম্প্রতি একের পর এক বিতর্কে বিশ্বভারতীর নাম উঠে আসায় মর্মাহত ওয়াকিবহাল মহল। তারা চাইছে, বিতর্ক ঝেড়ে ফের সুনাম ফিরে পাক বিশ্বভারতী।