নয়াদিল্লি: প্রত্যাশামতোই বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিন থেকেই জমজমাট সংসদ। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির প্রতিবাদে গোড়াতেই জোটবদ্ধ হয়ে সভাকক্ষ ত্যাগ করে বিরোধীরা। নির্বাচিত সরকারকে বিজেপি পরিকল্পনা করে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে, লোকসভা ভোটের আগে মিথ্যা অভিযোগে বিরোধীদের ভয় দেখানো হচ্ছে, বিরোধী জোট ভেঙে দিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ, এইসব অভিযোগ তোলে বিরোধী দলগুলিকে।
দ্বিতীয়ত কংগ্রেস এমপি ডিকে সুরেশের ভারত ভাঙার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিরোধী কংগ্রেসকে চেপে ধরে বিজেপি। বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই বলে বাজেটে দক্ষিণ ভারতকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে পৃথক রাষ্ট্রের দাবি উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেন সুরেশ।
আরও পড়ুন: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিন ইডি হেফাজত
শুক্রবার সেটা নিয়েই রাজ্যসভা ও লোকসভায় কংগ্রেসকে চেপে ধরে বিজেপি। সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি এ বিষয়ে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ক্ষমা দাবি করেছেন। দলীয় সাংসদের বিরুদ্ধে তিনি যেন ব্যবস্থা নেন, তারও দাবি তোলেন জোশি। সুরেশের এই বক্তব্যের জন্য বিষয়টি এথিক্স কমিটিতে পাঠানোর দাবি তোলেন প্রহ্লাদ জোশি। পৃথক রাষ্ট্রের দাবি তুলে কংগ্রেস সাংসদ শপথভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ বিজেপির।
যদিও রাজ্যসভায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে দলীয় এমপি-র বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। রাজ্যসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন সভার নেতা পীষূষ গোয়েল। যার জবাবে খাড়্গে বলেন, দেশ ভাঙার কথা কেউ বলে থাকলে কংগ্রেস তাঁকে ক্ষমা করবে না। এ ধরনের কথা মেনে নেবে না দল। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন হলে বিষয়টি স্বাধিকার রক্ষা কমিটির কাছে পাঠানো যেতে পারে।
অন্যদিকে, বারাণসী আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দেওয়ার বিরোধিতা করে মুসলিম লিগ এমপি মহম্মদ বশির, কানি কে নওয়াস এবং আবদুস সামাদ সামদানি মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান।
অন্য খবর দেখুন