কলকাতা: কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) সেরা তারকা কে? আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell) । তাঁকে এবার বসানো উচিত। অনেক হয়েছে। সব মধুচন্দ্রিমার শেষ হয়। এটারও শেষ হওয়া দরকার। একটা প্লেয়ার মরশুমে একবার কি দু’বার কি বড়জোর তিনবার বড় ইনিংস খেলবেন এই হিসেব করে হাতি পোষা যায় না। হ্যাঁ, এটা ঠিক, রাসেল বিজ্ঞাপনের সবথেকে বড় মুখ। প্রচুর অর্থাগম হয় তাঁকে বিক্রি করে। কিন্তু দিনের শেষে এটা ক্রিকেট খেলা, বিনোদন বা ব্যবসার থেকে যা অনেক বড়। আইপিএলে (IPL) আর কোনও দল এরকম উদ্ভট সিদ্ধান্ত নেয় না।
রাসেল একজন অলরাউন্ডার। তিনি ব্যাট এবং বল দুটোই করতে পারেন, সে জন্যই তাঁকে এত টাকা দিয়ে দলে রাখা। ঠিক যেমন বেন স্টোকস। আজ বল করতে গিয়ে কাহিল হয়ে পড়লেন। তিন উইকেট পেয়েছিলেন, দল ভরসা করছিল, তৃতীয় ওভারের প্রথম বল করে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়লেন। ব্যাট করতে নেমে ৬ বলে ৩। অথচ আজ এত বিশাল রান তাড়া করতে তিনিই ছিলেন ট্রাম্প কার্ড। এবার কেকেআর ম্যানেজমেন্টের ভাবা উচিত, ব্যবসার জন্য, প্রোমোশনের জন্য অন্য কাউকে পাওয়া যেতেই পারে।
আরও পড়ুন: জামশেদপুরের কাছে লজ্জার হার, সুপার কাপ থেকে বিদায়ের পথে মোহনবাগান
সবটাই যে রাসেলের দোষ তা তো নয়। বোলাররা জঘন্য বল করলেন। সুনীল নারিন (Sunil Narine) ছাড়া বাকিদের বোলিং কার্ড চোখে দেখা যায় না। নীতীশ রানা (Nitish Rana) আজ ফর্মে ফিরলেন, রিঙ্কু সিং আবার অসাধ্য সাধনের চেষ্টা করলেন। কিন্তু আজকের লক্ষ্য ছিল অনতিক্রম্য। আবার সেই রাসেলের কথা এসে যায়। যে দলে জেসন রয়, লিটন দাস বেঞ্চে বসে, সেখানে রাসেলকে আর কতদিন সুযোগ দেওয়া হবে সেটাই প্রশ্ন।
দিনের শেষে সবাই বলবে, বোলারদের ব্যর্থতায় ম্যাচ হেরেছে কেকেআর। ২২৮ রান ‘টু মাচ’। আসলে আজকের পিচ সেরকমই ছিল। ওরকম চাপের পরিস্থিতিতে ৩১ বলে ৫৮ করলেন রিঙ্কু। ৪১ বলে ৭৫ করলেন রানা। একটা, একটা ড্রে রাসের ২০ বলের ইনিংস আজ কেকেআরকে ম্যাচ জেতাতে পারত।
যাক, অনেক হল রাসেল। প্রশংসা করতেই হবে হ্যারি ব্রুকের। বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন তারা তিনি। এদিন ৫৫ বলের অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেললেন। তবে ম্যাচের পরে নীতীশ রানা যা বললেন তাতে পরিষ্কার, বোলারদের পারফর্ম্যান্সে খুশি নন তিনি।