মুর্শিদাবাদ: জঙ্গিপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ফিরোজ শেখকে(Firoz Sekh) খুনের চেষ্টা। তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হল শুক্রবার বিকেলে। এই ঘটনার পিছনে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
জঙ্গিপুর পুরসভা থেকে এদিন বিকেলে তিনি বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝপথে জনা দশেক লোক তাঁর বাইক থামায়। বাইক থেকে নামিয়ে ফিরোজকে ব্যাপক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা পালায় বলে স্থানীয় কয়েকজন জানান। পুরসভায় খবর গেলে সেখান থেকে ভাইস চেয়ারম্যান সন্তোষ চৌধুরী এবং অন্যরা চলে আসেন ঘটনাস্থলে। ফিরোজকে প্রথমে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনাস্থলে যায় রঘুনাথগঞ্জ (Raghunathgonj) থানার পুলিশ। তারা তদন্ত শুরু করেছে।
জঙ্গিপুর হাসপাতালে দাঁড়িয়ে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সন্তোষ খোলাখুলিই স্বীকার করেন, পুরসভায় চেয়ারম্যান এবং জনা ১২ কাউন্সিলর দুটি ভাগে বিভক্ত। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন। সন্তোষ বলেন, এই কোন্দলের কথা জেলা সভাপতি-সহ জেলার শীর্ষ নেতারা জানেন। আমি ফিরোজের উপর হামলার কথা চেয়ারম্যানকেও জানিয়েছি। তিনি তখন পুরসভাতেই ছিলেন।
থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফিরোজ শেখকে মারধরের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয় পুরসভা এলাকায। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়।
অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা তাঁকে মারধর করেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও খবর দেখুন