সিউড়ি: রাজ্য সভাপতির সভার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক তৃণমূলের রাজ্য যুব সম্পাদক। ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তবে শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, সংবাদমাধ্যমের কাছেও ক্ষোভ উগরে দিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক দেবব্রত সাহা। শনিবার সিউড়ি শহর এবং সিউড়ি ২ ব্লকে দুটি সভা করবেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তার আগেই শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুকে বিতর্কিত পোষ্ট করেন সদ্য প্রাক্তন জেলা যুব সভাপতি তথা বর্তমান রাজ্য যুব সম্পাদক দেবব্রত সাহা।
সিউড়ি কলেজের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক দেবব্রত সাহাকে বিধানসভার প্রার্থী করে চমক দিয়েছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ছাত্র জীবনে এসএফআইয়ের কলেজের ইউনিট সদস্য দেবব্রতকে তৃণমূল মেনে নিয়েছিল অনুব্রতর মুখ চেয়ে। কিন্ত গত বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় একটি মাত্র আসন দুবরাজপুরে তৃণমূল হেরে যায়। কিন্তু বামপন্থী অধ্যাপককে সংগঠনের কাজে লাগাতে তাঁকে জেলা যুব সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ কারণেই বোলপুর তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। অনুব্রতর জেলযাত্রার পরে তা আরও তীব্র হয়। একটা হতাশার মধ্যে চলে যান বিধানসভার তৃণমূলের হেরে যাওয়া প্রার্থী।
আরও পড়ুন: ভোটের মুখে জেলায় জেলায় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে
এরই মাঝে মাস দুয়েক আগে দেবব্রতকে সরিয়ে আরও অনভিজ্ঞ রামপুরহাটের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলা যুবর দায়িত্ব দেওয়া হয়। দেবব্রতকে রাজ্য যুবর পদে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আজ শনিবার জেলায় সায়নী ঘোষের দুটি সভা থাকা সত্বেও তাঁকে তাঁর আগে দলীয় বৈঠকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। তাই শুক্রবার রাতে দেবব্রত নিজের ফেসবুকে লেখেন, আমায় দেখতে খারাপ তাই ডাকেনি। দল জমিদারি হটানোর স্লোগান দিচ্ছে। আর কেউ কেউ দলটাকে জমিদারি ভাবছে। পার্টির একটা কাঠামো রয়েছে। সেটা সকলের মেনে চলা উচিত। তার নাতি দীর্ঘ পোষ্টে লেখেন, নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থে দলকে বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে। বিপদ আসন্ন।
এখানেই শেষ নয়। এদিন যুব তৃণমূলের অনুষ্ঠানে রাজ্য সম্পাদককে ডাকা পর্যন্ত হয়নি। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিনেও তাঁকে সিউড়ি পুরসভার এক কাউন্সিলরের নামে কার্ড ইস্যু করে তাঁকে ঢোকানো হয় বলে অভিযোগ।